বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > নয়া উদ্যোগ নিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী, চালু করলেন ‘‌সরাসরি বিধায়ক’‌ কর্মসূচি

নয়া উদ্যোগ নিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী, চালু করলেন ‘‌সরাসরি বিধায়ক’‌ কর্মসূচি

সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।

হোয়াটসঅ্যাপ করে নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষজন এখানেই সমস্যার কথা জানাচ্ছেন। গোটা বিষয়টি মনিটরিং করার জন্য একটি আলাদা টিমও গড়েছেন মন্ত্রী। এখান থেকে স্থানীয় সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে। আবার সংশ্লিষ্ট জায়গায় পাঠিয়ে সমস্যার সমাধান করছেন। নৈহাটির সব মানুষের কাছে পৌঁছে যায় ভিজিটিং কার্ড তৈরি করা হচ্ছে।

এবার ‘‌সরাসরি বিধায়ক’‌ কর্মসূচি নিয়ে এলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী। মানুষের উপকারের স্বার্থে এই কাজ করলেন তিনি। মমতা–অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন সেচমন্ত্রীর এই পদক্ষেপে খুশি দল। এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর ধাঁচেই ‘সরাসরি বিধায়ক’ কর্মসূচি চালু করলেন নৈহাটির বিধায়ক তথা সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তিনি একটি নির্দিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়েছেন। যেখানে নৈহাটি বিধানসভা এলাকার মানুষজন তাঁদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর পেয়েই এখন সবাই খুব খুশি।

এদিকে শুধু এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর শুধু চালু করেছেন তা নয়। এখানে ফোন করে রীতিমতো উপকার পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এই কর্মসূচি নৈহাটিতে সাড়া ফেলে দিয়েছে। এই কর্মসূচি চালুর তিন দিনে ১৭৮ জন মানুষ সমস্যা জানিয়ে সমাধান পেয়েছেন। জেলার মানুষের যেসব সমস্যা হয়ে থাকে সেসব সমাধান করে চলেছেন তিনি। অর্থের অভাবে নিজের বাড়ি সংস্কার করতে না পারা থেকে শুরু করে ওষুধের প্রয়োজনে, হাসপাতালে ভর্তি এবং এলাকার রাস্তাঘাট, আলোর সমস্যার কথা জানিয়ে মুহূর্তে সমাধান পেয়েছেন। যা দেখে মানুষজন খুব খুশি।

হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি ঠিক কী?‌ অন্যদিকে মন্ত্রী হয়েও পার্থ ভৌমিক নিজের দায়িত্ব পালন ভুলে যাননি। বরং তাঁর বিধানসভার মানুষের সমস্যা যাতে না থাকে সেই চেষ্টা করে গিয়েছেন মন্ত্রী। এবার মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক চালু করলেন ‘সরাসরি বিধায়ক’। যার নম্বর—৯৩৩০১০২৮৬৪। হোয়াটসঅ্যাপ করে নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষজন এখানেই সমস্যার কথা জানাচ্ছেন। আর গোটা বিষয়টি মনিটরিং করার জন্য একটি আলাদা টিমও গড়েছেন মন্ত্রী। এখান থেকেই স্থানীয় সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে। আবার সংশ্লিষ্ট জায়গায় পাঠিয়েও সমস্যার সমাধান করছেন।

আরও পড়ুন:‌ মাঝরাতে আরজি কর হস্টেলে করাত হাতে কারা?‌ পদক্ষেপ করার আশ্বাস হস্টেল সুপারের

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর যাতে নৈহাটির সব মানুষের কাছে পৌঁছে যায় তার জন্য ভিজিটিং কার্ড তৈরি করা হচ্ছে। যাতে প্রত্যেক মানুষের বাড়িতে ওই কার্ড পৌঁছে যায়। যেখানে লেখা আছে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। এই কার্ড পৌঁছে দিতে মন্ত্রী নির্দেশও দিয়েছেন। নৈহাটির জেটিয়া বালিভাড়া মালঞ্চ এলাকায় সরস্বতী দাস নামে এক বৃদ্ধা তাঁর টালির চালের বাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়ে ছিলেন হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে। পার্থ ভৌমিক নিজে ওই বৃদ্ধার বাড়িতে যান এবং চাঁদা তুলে বৃদ্ধাকে আর্থিক সাহায্য করেন। নৈহাটির আর এক বাসিন্দা দু’বছরের শিশুর হার্টে ফুটো থাকায় চিকিৎসার সাহায্য চান হোয়াটসঅ্যাপ করে। সেই চিকিৎসা নিখরচায় করার প্রক্রিয়া মন্ত্রী শুরু করেছেন। পার্থবাবু বলেন, ‘সবার সমস্যা সম্পর্কে যাতে উদ্যোগ নেওয়া যায় তার জন্যই সরাসরি বিধায়ক চালু করেছি।’‌

বন্ধ করুন