নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের নেতা–মন্ত্রীদের। এমনকী এই অভিযোগের জেরে এখন জেলে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য। এছাড়া শিক্ষা দফতরের অনেক কর্তাই এখন শ্রীঘরে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে চাকরি পাওয়ার রাস্তা বাতলে দিলেন কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র। আর তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে।
ঠিক কী বলেছেন কামারহাটির বিধায়ক? বেলঘরিয়ায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে এসেছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। পুজোর অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জগদ্ধাত্রী মায়ের সঙ্গে তুলনা করে মদন মিত্র বলেন, ‘চাকরি চাই, ছেলেমেয়েদের চাকরি চাই। কাউকে টাকা দেবেন না। প্রতারকরা ঘুরে বেড়াচ্ছে চাকরি দেব বলে। চাকরি যদি দেয় তাহলে ওই মালিক বসে আছে মা জগদ্ধাত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কাছে চাইবেন। যে চাকরি দেবে সে কোনওদিন টাকা চাইবে না। আর যে টাকা চাইবে, সে কোনওদিন চাকরি দেবে না।’
উল্লেখ্য, রাজ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষকে নাড়া দিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ। করুণাময়ীতে টানা চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না অবস্থান, অনশন দেখতে পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু আন্দোলন করলেই তো চাকরি দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। চাকরি মিলবে মেধার ভিত্তিতে। ধর্মতলায় এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভও দেখা গিয়েছে। আর এই ইস্যুতে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছেন বিরোধীরা। যদিও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে এখন জেল হেফাজতে রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট নেতা–মন্ত্রী–বিধায়ক। সেটাও প্রভাব ফেলেছে খানিকটা।
কেন এমন মন্তব্য করলেন মদন? সূত্রের খবর, মদন মিত্রের এমন মন্তব্য যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এখন ধর্মতলায় অবস্থানরত টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের বার্তা দিতেই তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁদের একটাই দাবি, চাকরি চাই। তাই তাঁর উপর ভরসা রাখতে বলেছেন মদন মিত্র। চাকরি কেমন করে মিলবে তাও বলে দিয়েছেন তিনি। সেই পথ ধরে যে পথে বসে আছেন সেটা ছাড়তেই এই বার্তা। মদন মিত্রের এই বক্তব্য সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে খুবই প্রাসঙ্গিক বলেই মনে করা হচ্ছে।