ইন্ডিয়া জোট নিয়ে যখন জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে তোলপাড় চলছে তখন দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলা থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকে দুষলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বাংলা জোট না হওয়ার ক্ষেত্রে কংগ্রেসের কোর্টেই বল ঠেললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সরাসরি কাঠগড়ায় তুললেন অধীর চৌধুরীকে। ইতিমধ্যেই ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা শুরু করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। আর সেখানে সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
যদিও জয়রাম রমেশ থেকে শুরু করে মল্লিকার্জুন খাড়গে ভরসা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। চিঠি লিখে পাঠানো থেকে শুরু করে টেলিফোন করা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে করেছেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। এই আবহে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আসনরফা নিয়ে সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা এই নিয়ে কোনও আলোচনা করেনি। উলটে বাংলায় বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। আসন সমঝোতা কার জন্য হয়নি? সেটা মানুষ দেখুক। মানুষের উপর ছেড়ে দেওয়া হোক। মানুষ কোথায় কাকে জেতাবে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন।’
এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া আক্রমণ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকে। শেষ সাত মাস ধরে অধীর চৌধুরী তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে একাধিকবার আক্রমণ করেছেন বলে ব্যাখ্যা তাঁর। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হিম্মত থাকলে বহরমপুরে এসে লড়ে দেখান। অধীর চৌধুরীর এই বক্তব্যের কড়া নিন্দা করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘জোট নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট তৃণমূলের। ধৈর্যের একটা সীমা থাকে। আসন নিয়ে কোনও আলোচনায় আসেনি কংগ্রেস। লাগাতার তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করে গিয়েছেন অধীর চৌধুরী। গত ৬ মাসে তৃণমূল একটাও কথা বলেনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অথচ অধীর চৌধুরী বারবার আক্রমণ করে গিয়েছেন। যে মহিলা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে, তাঁকে বলছে আমার বিরুদ্ধে লড়ুন। কে বলছেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলছেন।’
আরও পড়ুন: গ্রামের জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়েছে গজরাজের দল, স্কুল ছুটির ঘোষণা করা হয়েছে বাঁকুড়ায়
অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট নয়। এবার কার্যত সেই কথাই বললেন অভিষেক। আজ, সোমবার জোট নিয়ে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ বলেন, ‘কংগ্রেসের নেতৃত্ব বলছে, রাষ্ট্রপতি শাসন করা হোক। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার চালাতে পারছে না। মানুষ আজকে বুঝতে পারছে, বিজেপির বি–টিম কে? গত সাত মাস প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি কটা বিজেপিকে আক্রমণ করেছে। বাংলা একশো দিনের টাকা পাচ্ছে না। কটা সাংবাদিক বৈঠক করেছে। অধীর চৌধুরী কতবার এই নিয়ে কথা বলেছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, আদতে বিজেপির লাভের কথা বলছে।’