বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > সব ‘‌ভাইপো’‌ বলে আক্রমণ করে, নাম নেওয়ার বুকের পাটা প্রধানমন্ত্রীরও নেই:‌ অভিষেক

সব ‘‌ভাইপো’‌ বলে আক্রমণ করে, নাম নেওয়ার বুকের পাটা প্রধানমন্ত্রীরও নেই:‌ অভিষেক

তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি

অভিষেক বলেন, ‘যদি বুকের পাটা থাকে তা হলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে দেখান। বাংলার বীর সন্তান যদি আমি না হই, আপনাদের যদি টানতে টানতে কোর্টের দরজায় না নিয়ে আসতে পারি তা হলে আমিও এক বাপের ব্যাটা নই।’‌

রবিবার ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে বিজেপি–কে ‘‌ভাইপো’‌ কটাক্ষর জবাব দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, ‘‌শুধু বিজেপি নয়, সিপিএম, কংগ্রেসেরও আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু ‘‌ভাইপো’‌ শব্দটি। কিন্তু কেউ নাম নিতে পারে না। নাম নিয়ে বলতে পারে না— অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বুকের পাটা ভারতের প্রধানমন্ত্রীরও নেই।’‌

অভিষেক এদিন বজবজের মুচিশা হাইস্কুল মাঠে হওয়া এই সভা থেকে মনে করিয়ে দেন, ‘‌২০১৯–এ ডায়মন্ড হারবারে লাইট হাউস ময়দানের সভায় তাঁর আধ ঘণ্টার বক্তব্যে নরেন্দ্র মোদী বলে গিয়েছিলেন, ‘‌ভাতিজাকা বাত্তি গুল হোনে ওয়ালা হ্যাঁয়।’‌ বিজেপি–র ছোট, বড়, মাঝারি নেতা সবাই একটাই কথা বলে আমাকে আক্রমণ করে— ভাতিজা বা ভাইপো।’‌

সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে বিজেপি–র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, ‘‌গরু পাচার, কয়লা চুরি, বাংলাদেশে চোরাচালানের টাকা— এই কোটি কোটি টাকা এখন সরাসরি ভাইপোর হাতে যায়।’‌ সেই কথা এবং আগে হওয়া এমন বেশ কিছু ব্যক্তিগত আক্রমণের জবাবে এদিন অভিষেক বলেছেন, ‘‌শুধু বিজেপি নয়, সিপিএম, কংগ্রেসেরও আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু ‘‌ভাইপো’‌ শব্দটি। কিন্তু কেউ নাম নিতে পারে না। নাম নিয়ে বলতে পারে না— অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বুকের পাটা ভারতের প্রধানমন্ত্রীরও নেই। আর বিজেপি–র ছোট, বড়, মাঝারি নেতাদেরও নেই। এটা মাথায় রাখতে হবে।’‌

এর আগে একধিকবার অভিষেকের নামে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। এবং তার প্রতিটির ব্যবস্থা তিনি আইনগতভাবে নিয়েছেন বলে এদিন সভায় জানান তৃণমূল সাংসদ। তাঁর কথায়, ‘‌২০১৭ সালে নভেম্বর মাসে মুকুল রায় দল ছেড়ে বিজেপি–তে যোগ দিয়ে ধর্মতলায় প্রথম সভায় আমাকেই আক্রমণ করেছিল। বলেছিল যে আমি নাকি বিশ্ববাংলা কোম্পানির মালিক। পরের দিন আমি মামলা করি। হাইকোর্টে নিয়ে গিয়ে ল্যাজে–গোবরে করে পরাজিত করেছি। তার পরে দিলীপ ঘোষ, বাবুল সুপ্রিয়, রাহুল সিনহা, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদীরা আমাকে নাম ধরে আক্রমণ করেছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছি এবং সকলকে আদালতের দরজায় পাঠিয়েছি।’‌

এদিন বিজেপি–কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে অভিষেক বলেন, ‘মামলা করার পর থেকে ওরা আর সরাসরি নাম নিতে পারছে না। বলছে ভাইপো। যদি বুকের পাটা থাকে তা হলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে দেখান। বাংলার বীর সন্তান যদি আমি না হই, আপনাদের যদি টানতে টানতে কোর্টের দরজায় না নিয়ে আসতে পারি তা হলে আমিও এক বাপের ব্যাটা নই। ভাববাচ্যে কথা বলে লাভ নেই।’‌

কৈলাস বিজয়বর্গীয় বহিরাগত, তার ছেলে আকাশ বিজয়বর্গীয় গুন্ডা, দিলীপ ঘোষ গুন্ডা, সুনীল দেওদার বহিরাগত— এই বলে এদিন বিজেপি–কে আক্রমণ করেছেন অভিষেক। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে এদিন বলেছেন,‌ ‘‌আপনার ক্ষমতা থাকলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুন। কে সত্যি কথা বলছে আর কে মিথ্যা কথা বলছে তা প্রমাণ হয়ে যাবে।’

বন্ধ করুন