পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কোম কষে ময়দানে নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। এই আবহে জেলায় জেলায় হেভিওয়েট নেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। কয়েকদিন আগেই বীরভূমে গিয়ে বিজেপির কর্মী, সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করে এসেছিলেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তী। এরপরই জেলায় গিয়ে পালটা জনসভা করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। আর শনিবার জেলায় জনসংযোগ বাড়াতে পথে নেমেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। তবে পথে নেমেই আম জনতার ক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল সাংসদ।
বীরভূমের সাঁইথিয়া এলাকার হাতোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতোড়া গ্রামে জনসংযোগে নামা সাংসদকে সামনে পেয়ে অনেকেই অভিযোগ করেন যে সরকারি পরিষেবা পান না তাঁরা। অভিযোগ শুনে জনতার উদ্দেশে শতাব্দী প্রশ্ন করেন, ‘কেউ কী বাড়ি পাননি?’ জবাবে সমস্বরে ‘না’ বলেন সমবেত জনতা। এরপরই সাংসদ বলেন, ‘বীরভূমের অনেক মানুষ বাড়ি পেয়েছেন। যাঁরা পাওয়ার যোগ্য ধীরে ধীরে সকলেই পাবেন।’ ক্ষুব্ধ জনতাকে আশ্বস্ত করে শতাব্দী বলেন, ‘যে সমস্ত কাজ বাকি রয়েছে তা দ্রুত সম্পন্ন হবে।’
শনিবারে জনংযোগ কর্মসূচিতে শতাব্দীর সঙ্গে ছিলেন সাঁইথিয়ার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এই আবহে সাংসদের সামনে আম জনতার এই ক্ষোভ স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। সাংসদের সামনে অভিযোগ ওঠে, প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও অনেকেই এখনও বাড়ি পায়নি, অনেক গ্রামেই এখনও রাস্তা তৈরি হয়নি, পুকুরে ঘাট বাঁধিয়ে দেওয়া হয়নি। যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে শতাব্দী বলেন, ‘বেশিরভাগ মানুষই পরিষেবা পেয়েছেন। অনেক বেশি পরিষেবা পেয়েছেন। সংবাদমাধ্যম শুধু অভিযোগের ছবিগুলোই দেখাচ্ছে। অনেকেই বলেছেন আমরা পরিষেবা পেয়েছি। সেগুলিও দেখানো দরকার। বেশিরভাগ মানুষই ভালো কথা বলেছেন। আর যাঁরা এখনও পরিষেবা পাননি, তাঁরা আগামীতে নিশ্চয়ই পাবেন। সে কারণেই দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চলছে।’