ফের তৃণমূলের বিরুদ্ধে আবাস যোজনার সুবিধা দিতে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ। এবার মালদার চাঁচল ১ নম্বর ব্লকে এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন এক রাজমিস্ত্রি। তাঁর দাবি, তাঁর পাওনা টাকা ঢুকেছে অন্যের অ্যাকাউন্টে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত সদস্য।
চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হারিয়ান গ্রামের বাসিন্দা বারেক আলি জানিয়েছেন, ২ বছর আগে আবাস যোজনার তালিকায় তাঁর নাম আসে। তার পর পঞ্চায়েত দফতরে গিয়ে প্রয়োজনীয় নথি জমা দেন তিনি। অভিযোগ, তার পর দীর্ঘদিন কাটলেও তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি। কেন টাকা ঢুকছে না তা জানতে চাইলে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রুকসানা বেগম তাঁর কাছে ১০,০০০ টাকা কাটমানি চান বলে অভিযোগ।
বারেক আলি জানিয়েছেন, ওই টাকা তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব ছিল না। ওদিকে টাকা না ঢোকায় পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে বারবার বিষয়টি দেখার অনুরোধ করেন তিনি। পঞ্চায়েত সদস্য সাহায্যের আশ্বাস দিলেও কাজ হয়নি। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন তাঁর প্রাপ্য টাকা ঢুকেছে অন্যের অ্যাকাউন্টে।
অভিযোগ অস্বীকার করে রুকসানা খাতুন জানিয়েছেন, ‘আমি কারও কাছে টাকা চাইনি। যিনি এসব অভিযোগ করছেন তাঁর কাজটা যাতে হয় সেই চেষ্টায় লেগে আছি। বিডিওর সঙ্গে দেখা করেছি।’ ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের বিডিও।