যাত্রী তোলা নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূলের দুই ইউনিয়ন। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার তুলসিহাটা বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরেই এই বাস স্ট্যান্ডে শাসকদলের অটো ইউনিয়ন এবং শাসক দলের টোটো ইউনিয়ন যাত্রী তোলা নিয়ে রেষারেষি চলছিল। রবিবার সকালে তা চরম আকার নেয়।
রবিবার সকালে যাত্রী তোলা নিয়ে দুই ইউনিয়নের চালকদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় বচসা। তারপরই হাতাহাতি এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলের দুই ইউনিয়নের চালকরা। ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। খবর দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। উত্তেজনা সামাল দিতে এলাকায় নামে বিশাল পুলিশবাহিনী।
অভিযোগ, তুলসিহাটা বাসস্ট্যান্ডে তৃণমূলের অটোচালক ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরে বাসস্ট্যান্ডে থাকা মহিলাদের জন্য সরকারি শৌচালয় দখল করে পার্টি অফিস বানিয়ে রেখেছে। অটো ইউনিয়নে চালকদের দাপটে সেখানে যেতে লজ্জা পান বাস ধরতে আসা মহিলা যাত্রীরা। এলাকার বাসিন্দারা বারবার প্রতিবাদ করলেও কোনও ফল হয়নি। উল্টো শাসকদলের নেতাদের চোখরাঙানি সহ্য করতে হয়েছে।
এদিকে অটো ইউনিয়ন সাংবাদিকদের সামনে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। অটো ইউনিয়ন ওপর ওঠা অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর তুলসিহাটা অঞ্চলের তৃণমূল নেতৃত্ব। ওই গ্রাম-পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপ-প্রধানের স্বামী আব্বাস আলি প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন, তৃণমূল পরিচালিত অটোচালক ইউনিয়নের কর্মীরা শৌচালয়ের সামনে অফিস ঘর তৈরি করেছে। ঘটনায় তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছে এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, এলাকায় অশান্তি গুন্ডামি হিংসা ছড়ানোর জন্য তৃণমূল নেতৃত্বই দায়ী। রাজ্যজুড়ে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করছে তৃণমূল সরকার। মানুষ এর জবাব দেবে। গোটা ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির রাজনৈতিক তরজা।