তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের তুফানগঞ্জ। এই ঘটনায় আহত হন চারজন কর্মী। আহত কর্মীদের হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছে। গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা প্রকাশ্যে এলেও আহত তৃণমূল কর্মীর ছেলের দাবি, এই ঘটনা এলাকার বিজেপির লোকেরাই ঘটিয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ৩টে নাগাদ তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের পূর্ব ফলিমারি এলাকায় পঞ্চায়েতের ডাকা মিটিংয়ে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন কালাম শেখ-সহ আরও বেশ কয়েকজন। অভিযোগ, তখনই আচমকা তাঁদের উপর তির, বল্লম, লাঠি নিয়ে আক্রমণ করেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের আক্রমণে প্রাণে বাঁচতে এলাকায় কয়েকজনের ঘরে ঢুকে পড়েন কালাম শেখরা। ঘরের ভিতর থেকে তাঁদের টেনে বের করে মারধর করা হয়। কালাম শেখ-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এলাকার তিনটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ।
সংঘর্ষের ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। জানা যাচ্ছে, তুফানগঞ্জের ২ নম্বর ব্লকের ব্লক সভাপতি ধনেশ্বর বর্মণ ও ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি গোকুল সাহার অনুগামী গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরই এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত তৃণমূল কর্মীদের প্রথমে রামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে থেকে তাঁদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
যদিও এই ঘটনা প্রসঙ্গে কালাম শেখের ছেলে আবদুল্লা শেখ অভিযোগ করেন, বিজেপির ১০০ থেকে ১৫০ জন লোক তাঁর বাবার উপর আক্রমণ চালিয়েছেন। পূর্ব ফলিমারি ঘাটের কাছে তাঁর বাবার উপর আক্রমণ চালানো হয়। তাঁর কথায়, ‘জামালের ছেলে আমিরুল, গণি, সরিফুল ও সরিফুলের ঘনিষ্ঠ একজন এই আক্রমণ চালিয়েছে।’ আহত কালাম শেখেরও অভিযোগ, তৃণমূল করেন বলেই তাঁদের মারধর করা হয়েছে।