আজ, বৃহস্পতিবার আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ডাকা ১২ ঘণ্টার ভারত বনধে, পুরুলিয়া জেলা জুড়ে ব্যাপক প্রভাব পড়ল। রেলের আদ্রা আসানশোল শাখার মধুকুন্ডা স্টেশনে ওই সংগঠনের কর্মী–সমর্থকরা রেল অবরোধ করেন। আজ সকাল থেকেই তারা রেল লাইনের উপর মিছিল করে বিক্ষোভ দেখান। সারনা ধর্ম কোড স্বীকৃতি–সহ একাধিক দাবিতে এই বনধ ডাকা হয়েছে। মধুকুন্ডা স্টেশনে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান সংগঠনের আন্দোলনের জেরে রেলের ওই শাখায় একাধিক প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল এবং বেশকিছু ট্রেনকে অন্য রুটে চালাতে হচ্ছে।
এদিকে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে বনধের প্রভাব পড়েছে। তবে মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুরেও প্রভাব পড়েছে। আজ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। সেখানে এমন বনধে এই কাজেও প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আদিবাসী সেঙ্গেল সংগঠনটি জঙ্গলমহলে বেশ প্রভাবশালী। তার মধ্যে দক্ষিণ বাঁকুড়ায় এদের প্রভাব যথেষ্ট রয়েছে। তাই প্রভাব রয়েছে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে। মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুরেও প্রভাব পড়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আদ্রা ডিভিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৭টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তিনটি ট্রেন ঘুরপথে চালানো হচ্ছে। একটি ট্রেন রুট সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও এদিন সকাল থেকে বনধ পালিত হচ্ছে। বনধের জেরে বালুরঘাট বাস স্ট্যান্ড থেকে কোনও বেসরকারি বাস চলাচল করছে না। বন্ধ রয়েছে শহরের অধিকাংশ দোকানপাট। বেসরকারি বাস চলাচল না করলেও সরকারি বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস চলাচল করছে। তবে সরকারি বাসে যাত্রী সংখ্যা নগণ্য। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বাঁকুড়া সারেঙ্গা ও বাঁকুড়া রাইপুর রুটেও বেসরকারী বাস চলাচল বন্ধ আছে। তার ফলে চূড়ান্ত নাকাল হতে হচ্ছে নিত্যযাত্রী ও সাধারণ মানুষকে। বেসরকারি বাস পরিষেবা অমিল এখানে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ডাকা ভারত বনধে পরিবহণ ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়ল বাঁকুড়ায়। বাঁকুড়া গোবিন্দনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে কোনও বেসরকারী যানবাহন চলাচল না করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এই বনধে বাস যাত্রীদের পাশাপাশি চরম সমস্যায় পড়েছেন বেসরকারী বাস কর্মীরাও। সবমিলিয়ে চরম দুর্ভোগে আমজনতা। রেল অবরোধ হয়েছে ডালখোলা স্টেশনেও। দোকানপাট বাজার সব বন্ধ। ফলে চিন্তা বাড়াচ্ছে আদিবাসী ধর্মঘট। ইতিমধ্যেই বাংলার চার জেলায় ভাল প্রভাব পড়েছে।