পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই জেলায় জেলায় রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। এই আবহে সমবায় সমিতির নির্বাচনকেও হালকা চোখে দেখছে না কোনও রাজনৈতিক দল। এই কারণে তৃণমূলকে ঠেকাতে রাম-বামের নন্দকুমার মডেল সামনে এসেছিল। তবে সেই জোটে আপত্তি ছিল সিপিএম নেতৃত্বের। এই পরিস্থিতিতে মেদিনীপুরের সমবায় সমিতির নির্বাচনগুলিতে একাই লড়ছে দলগুলি। আর তার লাভ পাচ্ছে শাসকদল। আর এরই প্রমাণ মিলল ময়নায়। ময়নার চিরঞ্জীবপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সবকটি আসনে জয় পেল তৃণমূল কংগ্রেস।
আসনান, ঘোড়াবেড়িয়া, চিরঞ্জীবপুর, মির্জানগর, বল্লভপুর, কালিকাদাড়ি এবং শ্যামপুর, এই সাত গ্রামের সদস্যদের নিয়ে চিরঞ্জীবপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি। সমিতিতে মোট ৭৮টি আসন রয়েছে। তবে কোনও আসনেই বিরোধীরা প্রার্থী না দিতে পারায় তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরাই জয়ী হন বিনা প্রতিন্দ্বন্দ্বিতায়। উল্লেখ্য, ময়নার বিজেপি বিধায়ক হলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার অশোক দিন্দা। তিনি শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এই আবহে কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে এই জয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মনোবল আরও চাঙ্গা করেছে।
সমবায় সমিতির জয়ের বিষয়ে নৈছনপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সন্দীপন জানা বলেন, ‘আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল ভোটে সমস্ত আসনে জয়লাভ করবে। তারই শুভারম্ভ হিসেবে এই সমবায় সমিতির জয়।’ এদিকে বিজেপি তমলুক জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় পালটা বলেন, ‘নির্বাচনের নামে আদতে প্রহসন হচ্ছে।’ এদিকে সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘সন্ত্রাস করে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি আমাদের কর্মীদের। তাই ওরা জিতেছে। ওখানে গণতন্ত্রের হত্যা করা হয়েছে।’