গ্রেফতার বনগাঁ পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপ্রধান শংকর আঢ্য। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত এই তৃণমূল নেতা। রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল মধ্যরাতের দিকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এর আগে টানা ১৭ ঘণ্টা ধরে তাঁর বাড়িতে চলেছিল তল্লাশি। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে রাত সাড়ে বারোটা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে ম্যারাথন তল্লাশি চলে বনগাঁ পৌরসভার প্রাক্তন পৌর প্রধানের বাড়িতে। এরপর রাত ১২টা ৩২ মিনিট নাগাদ শংকর আঢ্যকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে বের করে আনেন ইডি আধিকারিকরা। এদিকে তাঁকে ইডি বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁর অনুগামীরা। এমনকী ইডির গাড়ি লক্ষ্য করে ইটও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বনগাঁ থানার পুলিশ। এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিআরপিএফ জওয়ানরাও লাঠিচার্জ করে বলে জানা যায়। (আরও পড়ুন: নিজের শক্তি বুঝেই তৃণমূলের সঙ্গে জোট আলোচনা, জেলায় জেলায় সমীক্ষা চালাবে কংগ্রেস)
এদিকে শংকরকে রাতেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছ বলে জানা গিয়েছে। আজ তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার শংকর আঢ্যর শ্বশুরবাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেখান থেকে উদ্ধার ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। এদিকে শংকরের অধীনে কাজ করা অঞ্জন মালাকারের বাড়িতেও ইডি হানা দিয়েছিল। তল্লাশি চালানো হয় শংকরের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের বাড়িতে। আঢ্যর সহযোগী বাবলু দাসের ফ্ল্যাটেও তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। এদিকে শংকর আঢ্যের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য জানান, সকাল সাড়ে সাতটা থেকে তদন্তে সহযোগিতা করেছেন তাঁরা। তবে রাত সোয়া বারোটা নাগাদ নাকি জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় শংকরকে। এই আবহে শংকরের স্ত্রী চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন।
উল্লেখ্য, রেশন বণ্টন দুর্নীতি কাণ্ডে আগেই রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সেই সূত্রেই শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সকাল থেকে তল্লাশি শুরু করেন ইডি আধিকারিকরা। বনগাঁর পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। তবে সেই অভিযানে যাওয়ার সময়ই আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ইডি আধিকারিকের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তিন ইডি আধিকারিক জখম হন বলে জানা যায়।