বঙ্গ রাজনীতিতে কুকথার ‘ফুলঝুরি’ খুব স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি হোক কি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সবার বিরুদ্ধেই আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে সাম্প্রতিককালে। এবার কুকথা বলে খবরের শিরোনামে উঠলেন তৃণমূলের বিধায়ক ইদ্রিস আলি। প্রসঙ্গত, গতকাল বিধানসভায় অখিল গিরির পদত্যাগ চেয়ে সরব হয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে ইদ্রিস বলেন, ‘আমার কাছে ক্ষমতা থাকলে বিরোধীদের জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়া হত।’
ভগবানগোলার বিধায়কের কথায়, ‘বিধানসভার স্পিকার খুব ভাল মানুষ। আমি যদি ওই জায়গায় থাকতাম, আর আমার যদি ক্ষমতা থাকত, তাহলে আপনাদের জিভগুলো টেনে ছিঁড়ে নেওয়া হত, যাতে আপনারা হইহই না করতে পারেন।’ প্রসঙ্গত, দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বিরুদ্ধে মন্ত্রী অখিল গিরির আপত্তিকর মন্তব্য করার প্রেক্ষিতে বিধানসভায় গতকাল করেছিল বিজেপির পরিষদীয় দল। তবে বিজেপির মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায় বিধানসভায়। এরপরই বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। তার আগে অবশ্য বিধানসভায় হট্টগোল বাঁধায় গেরুয়া শিবির।
উল্লেখ্য, শুভেন্দুকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে অখিল গিরি বলেছিলেন, ‘(শুভেন্দু) বলে (আমাকে) দেখতে ভালো নয়। কী রূপসী? কী দেখতে ভালো? আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা?’ এই নিয়েই বিতর্ক। এদিকে রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য কার অভিযোগ উঠেছে শুভেন্দুর বিরুদ্ধেও। এই আবহে শুভেন্দু অধিকারী গতকাল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতিকে আক্রমণ করেছেন মন্ত্রী অখিল গিরি। এই ঘটনায় সারা ভারত উত্তাল হয়েছে। আমরা তাঁকে বরখাস্ত করে গ্রেফতারির দাবি করছি। আমরা মুলতুবি প্রস্তাব জমা দিয়েছিলাম। আমাদের সেই মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করেছেন বিধানসভার স্পিকার। আলোচনার সুযোগও দেওয়া হয়নি। সেই কারণে আমরা প্রতিবাদ জানাই।’