করোনা মোকাবিলায় রাজনীতি ভুলে ময়দানে নেমে পড়লেন জয়ী ও পরাজিত দুই নেতাই।এমনই দৃষ্টান্তের সাক্ষী থাকল আলিপুরদুয়ার।এই কেন্দ্রে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে বিজেপি প্রার্থী।কিন্তু ভোট মিটতেই দুই দলের প্রার্থীই এখন জোরকদমে নেমে পড়েছেন করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে আলিপুরদুয়ার শহরে টিকাকরণকেন্দ্রগুলি ঘুরে দেখলেন বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল।টিকাকরণ ঠিকমতো চলছে কিনা সরজমিনে খতিয়ে দেখলেন তিনি।অন্যদিকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে অটো, টোটো, বিক্সাগুলিকে স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু করলেন আলিপুরদুয়ারের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী সৌরভ চক্রবর্তী।একটি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনকে নিয়ে এলাকায় স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু করে দিলেন তিনি।যেখানে যেখানে টিকাকরণের কাজ চলছে, সেখানে গিয়েও তদারকি করেন আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক।মঙ্গলবার এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় বয়স্ক মানুষদের টিকাকরণের কর্মসূচি চলছিল।সেখানে গিয়ে বয়স্ক মানুষদের যাতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে অসুবিধা না হয়, সেজন্য মাথায় ছাউনির ব্যবস্থা করেন তিনি।ছাউনি ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে এই আলিপুরদুয়ারে গোটা এলাকা স্যানিটাইজেশনে রেড ভলেন্টিয়ারদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন এলাকার বিজেপি প্রার্থী। তাঁদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার দিয়েও সাহায্য করেছিলেন তিনি।পাশাপাশি রেড ভলেন্টিয়াররাও এলাকার বিজেপি পার্টি অফিসটি স্যানিটাইজ করে দেন।এলাকাকে করোনা মুক্ত রাজনৈতিক সৌজন্যের নজির গড়েছিলেন ওই বিজেপি বিধায়ক।এবার তৃণমূলের তরফে করোনা মোকাবিলায় এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানো হল।