নদিয়ার তাহেরপুর থানার বাদকুল্লা ১ পঞ্চায়েতের নপুকুরিয়া এলাকার বাসিন্দা এক বৃদ্ধ গত কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন। এদিকে এনিয়ে যথেষ্টই উদ্বেগে ছিলেন তিনি। এসবের মধ্যেই করোনা পরীক্ষা করান তিনি। বুধবার সেই রিপোর্টের কথা জানাতে এক পরিচিত ব্যক্তি তাঁর ছেলেকে ফোন করেন। এদিকে সেই সময় ফোন ধরেন ওই বৃদ্ধ। তবে তখনকার মতো তিনি ফোনে কিছু জানাননি। এরপর বাড়ি ফিরে এসে তাঁর ছেলে ফোন করে জানতে পারেন তাঁর বাবার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এদিকে উভয়ের কথোপকথনে বিষয়টি আঁচ করেন ওই বৃদ্ধ। তারপর বাড়িতেও ওই বৃদ্ধকে মাস্ক পরে থাকতে বলেন অন্যান্যরা। এরপর যে যার মতো কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এদিকে কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ির একটি ঘর থেকে ওই বৃদ্ধের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান বাসিন্দারা।
ওই বৃদ্ধের পরিবার সূত্রে খবর, বিগতদিনে তিনি একটি রাইস মিলে কাজ করতেন। কিন্তু বয়সজনিত নানা অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। সেকারণ আর কাজে যেতে পারতেন না। এসবের মধ্যে বাড়িতে অনটন লেগেই আছে। এর সঙ্গেই করোনার কথা জানতে পেরে সম্ভবত মারাত্মক মানসিক অবসাদের মধ্যে ডুবে গিয়েছিলেন তিনি। আর তারই পরিণতিতে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশও তেমনটাই অনুমান করছে। বাদকুল্লা ১ পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এলাকায় স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সকলকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।