আবার থেমে গেল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে। আর তাও বিপত্তির জেরে। আজ, বুধবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের বেশ কয়েকটি কামরার পা দানি ভেঙে যাওয়ায় প্রায় এক ঘণ্টা ভেদিয়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকল আপ হাওড়া–নিউ জলপাইগুড়ি ট্রেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, আতঙ্কে যাত্রীরা চিৎকার জুড়ে দিয়েছেন। ছুটে এসেছেন রেলের অফিসাররা। কেমন করে এমন ঘটনা ঘটল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ট্রেন ছাড়ার সময় পরীক্ষা করেই বেরিয়ে আসে। তাহলে কি কোনও গাফিলতি ছিল?
এদিকে রেল সূত্রে খবর, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের নানা কামরার পা–দানি ভেঙে যাওয়ায় বিপত্তি ঘটে। আর তার জেরে ভেদিয়া স্টেশনে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত প্রায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিল আপ হাওড়া–নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে ধাক্কা লাগে বলে মনে করা হচ্ছে। তার জন্যই একাধিক সিঁড়ি ভেঙে যায় বলে প্রাথমিক অনুমানে উঠে এসেছে। পরে রেলের তৎপরতা এবং মেরামতি করার জেরে একঘণ্টা পর ট্রেনটি ছাড়ে। কিন্তু এই আতঙ্ক কিছুতেই কাটছে না বলে যাত্রী সূত্রে খবর।
এমন ঘটনা কেন ঘটল? সেটা খতিয়ে দেখতে রেল অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিজের মতো করে তদন্ত শুরু করেছে বলে খবর। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে বলা হয় সুপারফাস্ট ট্রেন। মুহূর্তের মধ্যে এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যায়। সেখানে এমন ট্রেনেরই যদি এই হাল হয় তাহলে সাধারণ ট্রেনগুলির হাল কেমন হবে! যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য থেকে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এই বিষয়ে পূর্ব রেলের এক অফিসার বলেন, ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এক ঘণ্টার মতো দাঁড়িয়েছিল। তারপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।’
আরও পড়ুন: শহরজুড়ে জোর নাকা তল্লাশি শুরু, সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে বিপুল পরিমাণ পুলিশ পথে
প্রায়ই ট্রেনগুলির নানা সমস্যা শোনা যায়। সেটি লোকাল ট্রেন থেকে দূরপাল্লার ট্রেন সব কিছু নিয়েই সমস্যা লেগেই থাকে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস শুরু হওয়ার দিন থেকে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। রেলের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে অনেক যাত্রীর অভিযোগ। তার উপর একঘন্টা থমকে গেল ট্রেন। এই ঘটনায় হয়রানির শিকার হলেন যাত্রীরা। একদল যাত্রী বলেছেন, ‘প্রায় এক ঘণ্টার কাছাকাছি ট্রেন এখানে দাঁড়িয়ে আছে। বেশ সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে তো সমস্যা হচ্ছেই। দেরিতে পৌঁছব।’