উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় এক স্কুল শিক্ষিকার অশ্লীল ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনার পর রাস্তায় নেমে ছাত্রীরা সেই শিক্ষিকার অপসারণের দাবি তুলল। এদিকে ভাইরাল ভিডিয়োকে ভুয়ো বলে দাবি করেছেন শিক্ষিকা। ইতিমধ্যেই সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই শিক্ষিকা। শিক্ষিকার দাবি, তাঁর নামে ভুয়ো ভিডিয়ো ভাইরাল করে তাঁর সম্মানহানির চেষ্টা হচ্ছে। এদিকে এই গোটা ঘটনায় প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, তিনি শিক্ষিকার অপসারণের দাবির কথা জানেন। ছাত্রীদের দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। এই ঘটনার সিদ্ধান্ত উচ্চতর কর্তৃপক্ষের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা।
এদিকে শিক্ষিকার অপসারণের দাবিতে সরব হওয়া এক ছাত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের শিক্ষিকার এমন ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে যে তার জন্য রাস্তাঘাটে বের হলে আমাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, শিক্ষিকা এমন হলে ছাত্রীরা কেমন হবে! স্কুলের বদনাম হচ্ছে। তাই আমরা চাইছি স্কুল থেকে এই শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হোক। সে কারণেই জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আমরা আন্দোলন করছি। উনি স্কুলে থাকলে আমরা স্কুলের কোনও কিছুতে অংশ নেব না। আর যদি ম্যাডামকে বের করা না হয় তাহলে আমাদের অন্যত্র পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হোক।’
এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘ছাত্রীরা আমার কাছে এসে স্কুলের শিক্ষিকার ভিডিয়ো ভাইরালের ঘটনাটা জানায়। যদিও আমরা সেগুলি দেখিনি। আমরা শুনেছি। ইতিমধ্যেই সাইবার ক্রামই থানায় ওই শিক্ষিকা অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ভিডিয়োটি ভুয়ো। এফআইআর-এর কপি আমাদের কাছে দিয়ে গিয়েছেন তিনি। গোটা বিষয়টির তদন্ত চলছে। আজ স্কুলের মেয়েরা এসে বিক্ষোভ দেখায়। ওরাও তদন্তের দাবি জানিয়েছে। পড়ুয়ারা ওই শিক্ষিকার ক্লাস করতে চাইছেন না। আমাদের কাছে এ বিষয়ে ওরা লিখিত দাবি জানিয়েছে তারা। উপর থেকে এই বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া