আগেরবার মাধ্যমিকে পাশের হারে রেকর্ড তৈরি হয়েছিল। এবার সেই রেকর্ডও ভেঙে গেল। বুধবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে ফল ঘোষণার সময় একথা জানালেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Secondary Education বা WBBSE) সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়।
চলতি বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা (WBBSE Madhyamik Result 2020)। চলেছিল ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া দেরিতে হওয়ায় ১৩৯ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার প্রথম হয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের অরিত্র পাল। মেধাতালিকায় তাঁর জেলা রীতিমতো দাপট দেখিয়েছে। মেধাতালিকায় একাধিক স্থান দখল করেছেন বাঁকুড়ার পডুয়ারাও।
একনজরে দেখে নিন মাধ্যমিক পরীক্ষা ২০২০ সালের (WBBSE West Bengal Madhyamik Result 2020) যাবতীয় আপডেট :
১) আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করছেন পর্ষদের সভাপতি।
২) ১৩৯ দিনের মাথায় ফল প্রকাশিত হচ্ছে।
৩) সবমিলিয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০,০৩,৬৬৬। ছাত্র সংখ্য়া ৪,৩৭,৯৯৮ জন। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা বেশি ১২.৭২ শতাংশ। ১,২৭,৬৭০ জন বেশি ছাত্রী।
৪) সাফল্যের হারে ছাত্রীরা সামান্য পিছিয়ে থাকলেও পর্ষদের সভাপতির বিশ্বাস, ছাত্রদের ধরে ফেলবে ছাত্রী।
৫) পাশের নিরিখে এগিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর (৯৬.৫৯ শতাংশ)। দ্বিতীয় স্থানে পশ্চিম মেদিনীপুর (৯২.১৬ শতাংশ)। তৃতীয় স্থানে কলকাতা (৯১.০৭ শতাংশ)। তারপর আছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তর ২৪ পরগনা।
৬) ৪৯ টি ক্যাম্প অফিসের মাধ্যমে মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। আগামী ২২ জুলাই সকাল ১০ টা থেকে বিতরণ করা হবে। সব ক্যাম্প অফিস এবং স্কুল স্যানিটাইজেশনের জন্য এক সপ্তাহ সময় নেওয়া হচ্ছে। সুরক্ষা বিধি নেওয়ার আর্জি জানান পর্ষদের সভাপতি।
৭) সফল পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮,৪৩,৩০৫। কোনও রেজাল্ট বাকি নেই। ৫৮ জনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
৮) পাশের হার : ৮৬.৩৪ শতাংশ। ছাত্রদের পাশের হার ৮৯.৮৭ শতাংশ। ছাত্রীদের পাশের হার ৮৩.৪৭ শতাংশ।
৯) প্রথম স্থান : একজন হয়েছেন। ৬৯৪ পেয়েছেন। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি বিদ্যাসাগর মেমোরিয়ালের অরিত্র পাল।
১০) দ্বিতীয় স্থান : দু'জন। বাঁকুড়ার ওন্দা হাইস্কুলের সায়ন্তন গড়াই এবং কাটোয়া কাশীরাম দাস স্কুলের অভীক দাস। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩।
১১) তৃতীয় স্থান : তিনজন। বাঁকুড়ার কেন্দুয়াডিহি হাইস্কুলের সৌম্য পাঠক, দেবস্মিতা পাঠক এবং রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের অরিত্র মাইতি। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০।
১২) মেয়েদের মধ্যে প্রথম দেবস্মিতা পাঠক। তিনি পূর্ব মেদিনীপুুরের ভবানীচক হাইস্কুলের পড়ুয়ার তিনি।
১১) চতুর্থ স্থান : বীরভূম জেলা স্কুলের অগ্নিভ সাহা। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯।
১২) পঞ্চম স্থান : প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮। যুগ্মভাবে পঞ্চম হয়েছেন বংশীহারী হাইস্কুলের অঙ্কিত সরকার, বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের স্বস্তিক সরকার, বিক্রমপুর আর ডি হাইস্কুলের রশ্মিতা সিনহা মহাপাত্র এবং গোরাবাজার ঈশ্বরচন্দ্র ইন্সটিটিউশনের বিভাবসু মণ্ডল।
১৩) ষষ্ঠ স্থানে ১২ জন। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। বাঁকুড়া ক্রিশ্চিয়ান কলেজিয়েট স্কুলের সৌনক বিশ্বাস, চন্দননগর কানাইলাল বিদ্যামন্দিরের সোহম দাস, রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলের সুনৃত সিংহ, জ্ঞানদীপ বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলের সপ্তর্ষি জানা, খাড়িয়া ময়নাপুর হাইস্কুলের সৌহার্দ্য পাত্র, অশোকনগর বাণীপীঠ গার্লস হাইস্কুলের অস্মি চৌধুরী-সহ অন্যান্যরা।
১৪) সপ্তম স্থান : ১৭ জন। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৬। চন্দননগর কৃষ্ণভাবিনী নারী শিক্ষা মন্দিরের সুহা ঘোষ, ব্যাবট্টারহাট আদর্শ হাইস্কুলের রিচিক সামন্ত, কোলাঘাট থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট হাইস্কুলের পিয়াস প্রামাণিক, বদনগঞ্জ শ্রী শ্রী সারদামণি গার্লস হাইস্কুলের সম্প্রীতি কুণ্ডু, সারদা বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলের সাহিত্য মণ্ডল, কান্দি রাজ হাইস্কুলের দেবাক্ষ সেনগুপ্ত, দক্ষিণেশ্বর হাইস্কুলের অনুষ্টুপ দাস এবং বেনুপালচক হাইস্কুলের সৈয়দ মহম্মদ তামিম।
১৫) অষ্টম স্থান : প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫।
১৫) নবম স্থান : প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪।
১৬) দশম স্থান : প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩।
১৭) প্রথম দশে রয়েছেন ৮৪ জন।
১৮) মেধাতলিকায় একজনও নেই কলকাতার।
গত বছর মাধ্যমিকে (WBBSE Class 10th Result 2019) সার্বিক পাশের হার ছিল ৮৬.০৪ শতাংশ। পাশের হারে এগিয়ে ছিল পূর্ব মেদিনীপুর (৯৬.০১ শতাংশ)। তারপরেই ছিল কলকাতা (৯২.১৩ শতাংশ), পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা ইত্যাদি জেলা। প্রথম হয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের মহম্মদপুর দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের সৌগত দাস। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৯৪। প্রথম দশে ছিলেন ৫১ জন।