দুর্গাপুজোও কেটে গিয়েছে জেলের অন্দরে। কালীপুজোও কাটছে জেলের মধ্যেই।আগের সেই দাপটও সম্ভবত কমছে। আর এসবের মধ্য়ে খবর, জেলবন্দি অবস্থায় ওজন কমেছে গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের। মঙ্গলবার আসানসোল হাসপাতালে স্বাস্থ্য় পরীক্ষা করা হয়েছিল অনুব্রতর। সেখানে দেখা যায় প্রায় ৯ কেজি ওজন কমে গিয়েছে কেষ্ট মণ্ডলের।
সূত্রের খবর, ৬০ দিনে প্রায় ৯ কেজি ওজন কমেছে তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। আগে তার ওজন ছিল ১১০ কেজি। বর্তমানে সেই ওজন কমে দাঁড়িয়েছে ১০১ কেজি। কিছুটা হলেও কি স্লিম হয়ে যাচ্ছেন কেষ্ট মণ্ডল? তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিনি যে ওষুধগুলি খান সেগুলিই চলবে।
এদিকে দলের নেতার ওজন হ্রাস নিয়ে ইতিমধ্য়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, শুধু যে শারীরিক দিক থেকে অনুব্রতর ওজন কমেছে তা নয়, বাংলার রাজনীতিতেও কি অনুব্রতর ওজন কিছুটা কমছে? তবে বর্তমানে তিনি এখনও দলের জেলা সভাপতির চেয়ারে রয়েছেন। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে তার সেই আগের দায়িত্ব কমেছে।
এদিকে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে ইতিমধ্যেই জেরার জন্য দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবার অনুব্রত মণ্ডলকেও দিল্লিতে জেরার জন্য় নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলেও জল্পনা ছড়িয়েছে। সব মিলিয়ে গরু পাচার মামলার তদন্তের জল এখন কতদূর গড়ায় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন অনেকে।