নির্বাচনের ফল ঘোণার পরই ভোট পরবর্তী হিংসার একাধিক অভিযোগ উঠতে থাকে রাজ্য জুড়ে। দাবি করা হয়, এই হিংসার অভিযোগের একাধিক ঘটনার শিকার দলিতরা। সেই অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখতেই রাজ্যে আসতে চেয়েছিল জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশন। তবে করোনার কারণে দেখিয়ে জাতীয় কমিশনকে রাজ্যে আসতে মানা করে দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কলকাতা হাইকোর্টকে বলে রাজ্যে ৮ মে-এর পরে একটিও রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা উঠে আসেনি। এই পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশন জাবি করছে যে তারা দলিতদের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ সংক্রান্ত চিঠি পাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে জাতীয় কমিশন রাজ্য সরকারকে জানিয়েছিল যে তারা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ১৩ এবং ১৪ মে রাজ্যে আসতে চায়। তবে করোনার কারণ দেখিয়া কমিশনকে রাজ্যে আসতে বারণ করল সরকার।
এই প্রেক্ষিতে ১১ মে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশনকে লেখা একটি চিঠিতে দাবি করেন, ১০ মে কলকাতা হাইকোর্টের ৫ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে এই সংক্রান্ত মামলা উত্থাপন করে রাজ্য সরকার। সেই মামলার প্রেক্ষিতে চলা শুনানিতে আদালত জানান যে দলিতদের উপর হওয়া কোনও অত্যাচারের অভিযোগ জাতীয় কমিশনে জমা পরলে তা পুলিশের ডিজিকে জানাতে।
তবে এর জবাবে কমিশন জানায় যে তারা নির্দিষ্ট স্থানে যেতে বদ্ধপরিকর। এই দাবির জবাবে রাজ্য সরকারের তরফে পাল্টা জানানো হয়, বর্তমান দুর্যোগের পরিস্থিতিতে প্রচুর বিধি নিষেধ লাগু করা হচ্ছে সংক্রমণ রুখতে। তাই করোনা বিধি মেনে যাতে এখন এই সফর বাতিল করা হয়। তাছাড়া কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সফরকারী দলের জন্য যেই হোটেল বুক করা হয়েছিল, তারাও ফোন করে অজুহাত দিয়ে জানিয়ে দেয় যে তারা এখন কোনও অতিথিকে জায়গা দিতে পারবেন না।
এদিকে কমিশনের চেয়ারম্যান বিজয় সাম্পলা এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি। তবে তিনি মেনে নিয়েছেন যে বুধবার তাঁর পশ্চিমবঙ্গ সফরে যাওয়ার কথা ছিল। এদিকে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে মহিলাদের উপরও অত্যাচার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই মহিলা কমিশনের তরফে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির সদস্যরা নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।