নিজের জীবন দিয়ে বড়সড় ট্রেন দুর্ঘটনা রুখলেন এক কর্মী। মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ি রেলস্টেশন সংলগ্ন আন্ধাঝোড়া রেলসেতুর কাছে এই দুর্ঘটনা। মৃত কর্মীর নাম অনুপ মুুন্ডা। তিনি ডামডিম গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। এই ঘটনায় রেলের সিগন্যালিং ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কর্মীরা। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে রেলের নিরাপত্তা নিয়ে।
জানা গিয়েছে, অনুপ মুন্ডার পেশায় রেলের ঠিকাকর্মী। অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে রাতের বেলায় রেললাইনে কাজ করছিলেন। সেই কারণে তারা রেললাইনের উপর লোহার রেলট্র্যাক রেখেছিল। প্রায় ১০-১২ জন রাতের অন্ধকারে কাজ করছিলেন। তারা রেললাইনের ট্রাক খুলে কাজ করছিলেন। সেইসময়ই দেখতে পান লাইনে দ্রুতগতিতে ছুটে আসছে ধুবরি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। তখন কর্মীরা তড়িঘড়ি রেললাইনের উপর থাকা লোহার ট্র্যাকগুলি সরানোর চেষ্টা করেন। সেই সময়ই ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় অনুপ মুন্ডার। ঠিকাকর্মীদের কথায় ,'অনুপ নিজের জীবন দিয়ে ট্রেনকে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করল। লোহার ট্রাক সরানো না হলে সেক্ষেত্রে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। '
এই ঘটনায় রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কর্মীরা। রেলের ট্র্যাকে কাজ হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে ওই লাইনে ট্রেন আসল? সিগন্যালিং ব্যবস্থা ছিল না কেন? তাঁদের অভিযোগ, সেখানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ছিল না। অন্ধকারের মধ্যেই তাঁদের কাজ করতে হচ্ছিল। রাতের অন্ধকারে কীভাবে ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে রেলের কাজ চলছিল, তাও আবার কোনওরকম সুরক্ষা ছাড়াই? এই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে রেল। অন্যদিকে, মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন কর্মীরা।