ঠিক হয়ে গিয়েছিল বিয়ের তারিখ। তারপর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তিনবার ধর্ষণ করেন হবু বর। এমনই অভিযোগ করলেন কলকাতার এক উঠতি মডেল। তাঁর দাবি, ধর্ষণের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। জোর করে গর্ভপাতও করানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন যুবতী। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিক্রমগড়ের।
যুবতীর দাবি, বছর দেড়েক আগে ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল কলকাতার একটি পানশালার ম্যানেজারের সঙ্গে। আগামী ২৯ নভেম্বর বিয়ের দিন ঠিক হয়ে যায়। তারইমধ্যে হবু শ্বশুর, শাশুড়ির সঙ্গে কথা বলানোর অজুহাতে গত অগস্টে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যান অভিযুক্ত যুবক। কিন্তু সেখানে কেউ ছিলেন না। ফাঁকা বাড়িতে তিনবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন যুবতী।
বিক্রমগড়ের ওই যুবতীর দাবি, বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করতে যুবক বলেন যে কয়েক মাস পরেই তো বিয়ে হবে। তারইমধ্যে অসুস্থ বোধ করতে থাকেন যুবতী। হাসপাতালে নিয়ে যান অভিযুক্ত যুবকই। পরীক্ষায় জানা যায় যে যুবতী অন্তঃসত্ত্বা। তারপর থেকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দেওয়া হতে থাকে। তিনি দাবি করেছেন, গর্ভপাতে রাজি না হওয়ায় হবু বর, হবু শাশুড়ি, হবু ননদ মারধর করেন। অভিযুক্ত যুবকের বোন চুলের মুঠি ধরেছিলেন। হাত ধরেছিলেন বোনের স্বামী। যিনি আয়কর দফতরে কাজ করেন। অভিযুক্ত যুবক পেটে সজোরে লাথি মারে। তারপর জোর করে আটকে রাখা হয়েছিল বাড়িতে। পরে একটি ক্লিনিকে নিয়ে জোর করে কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে গর্ভপাত করানো হয়েছিল। তারপরও অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। যুবতীর দাবি, সেই ঘটনার পরই তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন যুবক। ‘নোংরা’ মেয়ে বলা হয়।
ইতিমধ্যে সোমবার সোনারপুর থানায় যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থানায় করেছেন। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত যুবক পলাতক। যুবকের পরিবারের তরফেও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।