বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > 100 Days Job: একশো দিনের কাজের টাকা বকেয়া, ন্যায়পালদের সক্রিয় করার নির্দেশ কেন্দ্রের

100 Days Job: একশো দিনের কাজের টাকা বকেয়া, ন্যায়পালদের সক্রিয় করার নির্দেশ কেন্দ্রের

১০০ দিনের কাজ

এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের নির্দেশ, এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জবকার্ড হোল্ডারদের কোনও অভিযোগ জমা পড়লে সেটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত করতে হবে ন্যায়পালদের। এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের তৈরি করা নিয়ম মেনেই ন্যায়পাল নিয়োগ করা হয়েছে। তাও বাংলার প্রাপ্য টাকা ছাড়েনি কেন্দ্রীয় সরকার।

বাংলার ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলার প্রাপ্য প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। যা জোর করে আটকে রেখেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। অথচ এই আবহে প্রকল্পের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ন্যায়পালদের দ্রুত অতিসক্রিয় করতে রাজ্যকে নির্দেশ দিল মোদী সরকার। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য–রাজনীতির অলিন্দে। বারবার এই রাজ্যে পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। কিন্তু তারপরও মেলেনি এক টাকাও।

এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার এই নির্দেশ রাজ্য সরকারকে দিলেও সেটা অর্থহীন বলেই মনে করছেন রাজ্যের অফিসাররা। কারণ, রাজ্যের বরাদ্দ আটকে থাকায় ১০০ দিনের কোনও কাজই হচ্ছে না বাংলায়। সুতরাং অভিযোগ আসবে কোথা থেকে!‌ এই কেন্দ্রীয় দল পাঠানো থেকে শুরু করে একশো দিনের টাকা না দেওয়ায় গরিব মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। এই নিয়ে প্রত্যেক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একশো দিনের টাকা নিয়ে সরব হয়েছেন। এখন বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। নয়াদিল্লিতে গিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধরনা–অবস্থানে বসবেন বলেছেন তিনি।

অন্যদিকে নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ, একশো দিনের কাজে নজরদারি চালাতে প্রত্যেকটি জেলায় একজন করে ন্যায়পাল নিয়োগ করা হয়েছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে রাজ্যই। নজরদারি চালাতে তাঁদের সবরকম সহযোগিতা করে রাজ্য। এমনকী একশো দিনের কাজ নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত ভিত্তিক একটি করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং গত নির্বাচনে তাঁদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীদের থাকার কথা এই গ্রুপে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ইতিমধ্যেই তৃণমূলে নব জোয়ার কর্মসূচি থেকে একশো দিনের কাজের টাকা দিল্লি থেকে নিয়ে আসার জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের নির্দেশ, এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জবকার্ড হোল্ডারদের কোনও অভিযোগ জমা পড়লে সেটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত করতে হবে ন্যায়পালদের। এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্রের তৈরি করা নিয়ম মেনেই ন্যায়পাল নিয়োগ করা হয়েছে। তাও বাংলার প্রাপ্য টাকা ছাড়েনি কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলাই একমাত্র রাজ্য, যাদের টাকা আটকে রাখা হয়েছে বলে আজ অভিযোগ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু হঠাৎ এই রাজ্যকে এমন চিঠি পাঠানো নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

বন্ধ করুন