গত খারিফ মরশুমে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা পেতে চলেছেন শস্য বিমার টাকা। রাজ্যের প্রায় ১১ লক্ষ কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে প্রায় ১০২ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে এই প্রকল্প চালু করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই প্রকল্পের বিমার প্রিমিয়াম দেয় রাজ্য সরকারই।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, খারিফ মরশুমে যে সব কৃষকরা চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যে জম পড়তে শুরু করেছে শস্য বিমার টাকা। অধিকাংশ কৃষক ইতিমধ্যে টাকা পেয়ে গিয়েছেন। বাকিরাও কয়েক দিনের মধ্যেই এই টাকা পাবেন। মোট ১০২ কোটি টাকা ১১ লক্ষ কৃষককে দেবে বিমা সংস্থা।
২০১৯ সালে রাজ্যের কৃষকদের জন্য ফসল বিমা যোজনা চালু করে রাজ্য সরকার। এই বিমার প্রিমিয়ামের পুরো টাকা দেয় রাজ্য সরকার। নথিভুক্ত চাষিরা এই বিমার অধীনে প্রতিকূল আবহাওয়া বা বন্যপ্রাণীর দ্বারা ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিমার টাকা পান চাষিরা। উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে কোন কোন জমিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে তা চিহ্নিত করা হয়। এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পে প্রায় ২৪০০ কোটি টাকা চাষিদের মধ্যে বিলি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দ্রুত বিমার টাকা কৃষকদের পাইয়ে দিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নজির তৈরি করেছে। রাজ্যের তৎপরতার ফলেই এরাজ্যে কৃষকদের আয় তিন গুণ বেড়েছে। শস্য বিমা প্রকল্পের জন্য চাষিদের আর আগের মতো অর্থকষ্টে দিন কাটাতে হয় না। গত অক্টোবরে রাজ্যের ২ লক্ষ ৪৫ হাজার কৃষক প্রায় ২০০ কোটি টাকা বিমা থেকে পেয়েছিলেন।