বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হতেই জারিজুরি ফাঁস। ভুয়ো রেশন কার্ড দিয়ে রেশন দুর্নীতির ভয়াবহ ছবিটা স্পষ্ট হল রাজ্যে। আট মাসে পশ্চিমবঙ্গে নিষ্ক্রিয় হয়েছে প্রায় ১ কোটি ১৩ লক্ষ রেশন কার্ড। অভিযোগ, অল্প কিছু বাদ দিয়ে বাকি সমস্ত কার্ডই ছিল ভুয়ো। যা দিয়ে রেশনের সামগ্রী তুলে খোলা বাজারে বিক্রি করতে অসাধু রেশন ডিলার ও তৃণমূল নেতাদের একাংশ।
২০২০ সাল থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেশন বণ্টন। এর ফলে গ্রাহককে আঙুলের ছাপ দিয়ে রেশন তুলতে হচ্ছে। রেশন কার্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আধার। যার ফলে একই নামে একাধিক রেশন কার্ড থাকার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গিয়েছে। আর তাতেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে রেশন চুরির ভয়াবহ ছবিটা।
পরিসংখ্যান বলছে, গত সেপ্টেম্বর থেকে মে পর্যন্ত রাজ্যে ১ কোটি ১৩ লক্ষ ১৩ হাজার ৭৫৫টি রেশন কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়েছে। যার প্রায় পুরোটাই ভুয়ো রেশন কার্ড। তবে বিভিন্ন কারণে প্রকৃত গ্রাহকদের কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে এমন কিছু ঘটনাও রয়েছে।
তথ্য বলছে উত্তর ২৪ পরগনায় বন্ধ হয়েছে ১৪.১৬ লক্ষ কার্ড। মালদা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১০.৯২ লক্ষ করে। মুর্শিদাবাদে ৮.৬২ লক্ষ। এব্যাপারে সরকারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বিরোধীদের অভিযোগ, ক্ষমতায় আসার পর রেশন কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযুক্তিকরণের বিরোধিতা করে দেদার ডিজিটাল রেশন কার্ড বিলি করে মমতা সরকার। যার একটা বড় অংশই ছিল ভুয়ো। সেই রেশন কার্ড দেখিয়ে রেশন তুলে তা খোলা বাজারে বিক্রি করতেন তৃণমূল নেতাদের একাংশ। বায়োমেট্রিক পদ্ধতি আসায় সেই কারবার বন্ধ হওয়ার মুখে।