চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে রোগী পরিবারের হাতে চিকিৎসকদের প্রায়ই নিগৃহীত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। কিছুদিন আগেই চাঁদার জুলুমবাজির শিকার হয়েছিলেন কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালের এক চিকিৎসক। আর এবার নেশার প্রতিবাদ করায় এনআরএস হাসপাতালের মহিলা জুনিয়র ডাক্তারদের মারধর এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। হাসপাতালের নির্মীয়মাণ বিল্ডিংয়ের শ্রমিকরা তাদের বেধড়ক মারধর করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তাররা শ্রমিকদের বিরুদ্ধে এন্টালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ডাক্তারদের অভিযোগ পেয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে এন্টালি থানার পুলিশ। অন্যদিকে, পালটা জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অশালীন কাজ করার অভিযোগ তুলেছে শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: NRS–এ রোগীর পরিবারকে কাটা পা ধরোনো কাণ্ডে রিপোর্ট চাইল স্বাস্থ্য ভবনের
পুলিশ সূত্রের খবর, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ের কাছে রাতে ঘোরাঘুরি করেন। তা নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর তাদের মধ্যে বচসা বাঁধে। ক্রমেই বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। অভিযোগ, জুনিয়র ডাক্তারদের মারধর করে শ্রমিকরা। এমনকী শ্লীলতাহানিও করা হয়। ঘটনায় রাতেই এক জুনিয়র ডাক্তার ইটালি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত অভিজিৎ ঘোষ, প্রসেনজিৎ ঘোষ এবং পূর্ণেন্দু বিশ্বাস নামে ৩ শ্রমিকের বিরুদ্ধে শারীরিকভাবে হেনস্থা ও গালিগালাজ করার অভিযোগ তোলা হয়। অভিযোগ পেয়ে ওই ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে এন্টালি থানার পুলিশ।
জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, শ্রমিকরা সেখানে নেশা করছিল। তাই তারা এর প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তা নিয়ে প্রতিবাদ করতেই শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের বচসা বেঁধে যায়। এরপরে তারা জুনিয়র ডাক্তারদের মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে রাতেই পৌঁছয় এন্টালি থানার পুলিশ। রাতেই পুলিশ এক শ্রমিককে আটক করে। পড়ে আরও দুজনকে আটক করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। বুধবার ওই তিন অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হয়। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এন্টালি থানার পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এর পাশাপাশি কী নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা? আসল কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।