রাজারহাট গোপালপুরের তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সি। স্বামীর নাম দেবরাজ চক্রবর্তী। বিধাননগরের তৃণমূল কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবারই তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। এনিয়ে গোটা রাজ্য় জুড়ে শোরগোল। তার মধ্য়েই সামনে এল নতুন খবর। এবার বিধানসভার অধিবেশন থেকে ছুটি চেয়েছেন বিধায়ক অদিতি। তবে তার কারণ হিসাবে তিনি অসুস্থতার কথাই উল্লেখ করেছেন। তিনি বিধানসভার স্পিকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন ছুটির জন্য। তবে স্পিকার সেই ছুটি মঞ্জুর করেছেন বলে খবর।
এদিকে অদিতি আবার ফেসবুকে শুক্রবারই লিখেছেন আজ থেকে আবার শুরু। দিনকয়েকের থমকে যাওয়া, অসুস্থতা, ওষুধ বিশ্রাম এসব কিছুর পর আজ থেকে আবার একসাথে কৃষ্ণনামে মেতে ওঠার পালা। এখানেই প্রশ্ন অসুস্থতার জন্য় ছুটি নিয়ে তিনি কি গান গাইবেন?
অদিতি মুন্সি বিধায়ক ছাড়াও তিনি বেশ নামী সঙ্গীতশিল্পী।কীর্তনশিল্পী। তাঁর দরদ ভরা কণ্ঠস্বরে মজেছেন অনেকেই। তবে এবার বিধানসভার অধিবেশনের শুরু থেকেই তিনি কিছুটা গরহাজির ছিলেন। এবার একেবারে ছুটি চাইলেন তিনি। মূলত অসুস্থতার কথা বলেই তিনি ছুটি চেয়েছেন। আর সেই ছুটি মঞ্জুরও করা হয়েছে। খবর আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে।
গত ২৪ নভেম্বর থেকে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে। তবে শুরু থেকেই এবার একেবারে ফুল ফর্মে ময়দানে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবির। থালা, বাটি বাজিয়েও চলছে প্রতিবাদ। চরম হইচই চলছে বিধানসভা চত্বরে। চোর চোর স্লোগানও উঠছে। কার্যত বিজেপি বিধায়কদের এই চোর চোর স্লোগানের চোটে কান পাতাই দায় হয়ে উঠেছে। তবে অদিতি মুন্সীকে অবশ্য এসবের মধ্য়ে পড়তে হয়নি। কারণ তিনি তো সেভাবে বিধানসভাতেই আসছেন না।
এদিকে বিধায়কদের সঠিক সময়ে বিধানসভায় আসার ব্যাপারে নির্দেশ জারি করেছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। শাসকদলের বিধায়করা সময় মেনেই বিধানসভায় আসার চেষ্টা করছেন। এমনকী সই করেও তাঁরা বিধানসভায় ঢুকছেন। এতটাই কড়াকড়ি।
তবে সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিধানসভার স্পিকারের কাছে অদিতি ছুটির আবেদন করেছেন। শুক্রবার বিষয়টি স্বীকার করেছেন স্পিকার। অসুস্থতার জন্য ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে বলে খবর।
তবে অদিতির অসুস্থতার খবর শোনা যাচ্ছিল গত কয়েকদিন ধরেই। কিছুদিন আগেই জানিয়েছিলেন তিনি অসুস্থ। যে কারণে একাধিক গানের শো বাতিল করতে হয় অদিতি মুন্সিকে। এবিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হলে অদিতির টিমের তরফে জানানো হয়েছিল, 'ওর গলার অবস্থা ঠিক নেই। কথা বলা এক্কেবারেই বারণ। ওকে চিকিৎসক ভয়েস রেস্টে থাকতে বলেছেন। ওর vocal injuries হয়েছে। এক্কেবারেই কথা বলতে পারছেন না। গলা choked (রুদ্ধ) হয়ে রয়েছে।’
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অদিতি জানিয়েছিলেন, ‘আমি বেঁচে আছি, ভালো আছি, সুস্থ আছি, খুব তাড়াতাড়ি ফিরছিও।’ কীর্তন গায়িকা জানিয়েছিলেন ডিসেম্বর থেকেই ফের অনুষ্ঠান করা শুরু করবেন তিনি।
তবে তার মধ্যেই সামনে এল অদিতির ছুটির আবেদন। আবার অদিতির গানের স্টুডিয়োতেও সিবিআই হানা দিয়েছিল বলে খবর।