একটা দিন আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা তথাগত রায়। বৈঠক হয়েছিল দু’জনের মধ্যে। তারপর সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেক কথা হল, বলা যাবে না। আমি তো সেভাবে সক্রিয় সদস্য নই, তাই দলের বিষয়ে কিছু বলা উচিত হবে না।’ ঠিক তার পরের দিনই তিনি বড় অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন রাজ্য বিজেপিকে। বিজেপির নতুন জাতীয় কর্মসমিতিতে বিশেষ আমন্ত্রিতের তালিকায় নাম রাখা হয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যিনি বিজেপি বিরোধিতা এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এই নিয়ে তথাগতের অভিযোগের তির সেই চার নেতার দিকেই।
এই চার নেতাকে নিয়ে তিনি আগেই তৈরি করেছিলেন একটি কোড। সেটা হল—কেডিএসএ। মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় এবার ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘রাজীব যখন তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার তোরজোর চালাচ্ছেন, তখন তাঁর নাম রাখা হয়েছে বিজেপির জাতীয় একজিকিউটিভ কমিটিতে। রাজ্য কমিটিকে জানানোও হয়নি। কার সুপারিশে এমন হল? কী চলছে?’ তিনি সক্রিয় না থেকেও এই প্রশ্ন তুলে দেওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি।
বিজেপি যে বারবার একই ভুল করে চলেছে তাও তাঁর টুইটে উঠে এসেছে। তিনি মনে করিয়ে দিচ্ছেন, প্রয়াত সোমেন মিত্রের স্ত্রীকে একুশের নির্বাচনের আগে চৌরঙ্গীর আসনের প্রার্থী বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। যা তিনি প্রত্যাখ্যান করেন এবং স্পষ্ট জানান, বিজেপির সঙ্গে তাঁর কোনও লেনদেন নেই। এখন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাই তথাগত কাঠগড়ায় তুলেছেন, তাঁর কেডিএসএ–টিমকে। অর্থাৎ কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, অরবিন্দ মেনন ও শিবপ্রকাশ।
উল্লেখ্য, গত ৬ মে ট্যুইটারে তথাগত রায় লিখেছিলেন, ‘কৈলাস, দিলীপ, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ–এই চার মাথাই প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মান ধুলোয় মিশিয়েছে। এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় দলের নাম খারাপ করেছেন। হেস্টিংসের চূড়ায় এবং সাততারা হোটেলে বসে তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের আবর্জনাদের মধ্যে টিকিট বাঁটোয়ারা করেছেন।’ এই তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগীদের নিয়ে তথাগতর মন্তব্য ছিল, ‘একঝাঁক নিম্নমানের অদূরদর্শী মানুষ যাদের কোনও রাজনৈতিক বোঝাপড়া নেই, অষ্টম শ্রেণি পাশ তাদের থেকে কি প্রত্যাশা করা হবে?’ এবার আবার রাজীবকে নিয়ে দলকেই দুষলেন তিনি।