বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > কেন্দ্রের চিঠির জবাব সময়ের মধ্যেই দেবেন আলাপন

কেন্দ্রের চিঠির জবাব সময়ের মধ্যেই দেবেন আলাপন

প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। (ছবি সৌজন্য এএনআই)

কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি কর্মী হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠক এড়িয়ে বিধি ভেঙেছেন আলাপনবাবু।কেন তাঁর বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ৫১(‌বি)‌ ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সেটা তিনি চিঠি লিখে জানান।

‌কেন্দ্রের পাঠানো শোকজের নোটিশের জবাব দেবেন প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্ন সূত্রে এমন খবরই পাওয়া গিয়েছে। তিন দিনের মধ্যেই চিঠির জবাব দেবেন প্রাক্তন মুখ্যসচিব। এদিনই মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্বভার নিলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মুখ্যসচিব থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে অনুপস্থিত থেকে তিনি বিপর্যয় মোকাবিলা আইন লঙ্ঘন করেছেন। কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়।

এদিন প্রথম থেকেই একটি বিষয়ে জল্পনা চলছিল যে অবসর নেওয়ার পর প্রাক্তন মুখ্যসচিব হিসাবে শোকজের নোটিশের জবাব দিতে কী আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বাধ্য?‌নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি বাধ্য। অবসর নেওয়ার ৪ বছরের মধ্যে সরকারি চিঠির জবাব দিতে বাধ্য আধিকারিকরা। সেক্ষেত্রে ৩ দিনের মধ্যেই আলাপনবাবু কেন্দ্রের শোকজের নোটিশের জবাব দেবেন। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি কর্মী হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠক এড়িয়ে বিধি ভেঙেছেন আলাপনবাবু। কেন তাঁর বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ৫১(‌বি)‌ ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সেটা তিনি চিঠি লিখে জানান।

নবান্ন সূত্রে খবর পাওয়া যাবে, আলাপনবাবু চিঠিতে তাঁর অনুপস্থিতির কারণ হিসাবে জানাতে পারেন, দীঘায় তাঁর পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক ছিল। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই কলাইকুণ্ডায় বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন।মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর জন্য দীঘায় প্রশাসনিক আধিকারিকরা অপেক্ষা করছিলেন। মুখ্যসচিব হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পালন করা তাঁর কর্তব্য।

এর আগে আলাপনবাবু মুখ্য সচিব থাকাকালীন তাঁর কার্যকালের মেয়াদ তিন মাস বাড়ানোর পর তাঁকে হঠাৎ দিল্লির নর্থ ব্লকে ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি যাননি।গতকাল তিনি অবসর গ্রহণ করেন। অবসর নেওয়ার দিন তাঁর কাছে শোকজের চিঠি যায়। চিঠিতে বলা হয়, আকাশপথে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনের পর কলাইকুণ্ডা বিমানঘাঁটিতে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক ছিল তাঁর। রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সঙ্গীরা ১৫ মিনিট অপেক্ষা করেন। বৈঠকে অংশ নেবেন কিনা মুখ্যসচিবের কাছে তা জানতে চান এক আধিকারিক। তারপরই মুখ্যসচিবের সঙ্গে ঢোকেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে যান তাঁরা। শোকজের চিঠিতে এভাবে বর্ণনা করা হলেও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রিপোর্ট দিয়েই দীঘার বৈঠকে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই তাঁরা গিয়েছিলেন।

 

বন্ধ করুন