সোমবার আদালতে যাবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন। কিছু কাজ আছে বলে জানিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। কথা মতোই সোমবার তিনি গিয়েছিলেন আদালতে। কিন্তু প্রশ্ন হল আগে যে মামলাগুলি শুনতেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় সেই মামলা এবার কোন বিচারপতি শুনবেন? সূত্রের খবর, সেই মামলাগুলি এবার গিয়েছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে।
প্রসঙ্গত বিগতদিনে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই বিচারপতির কাছেই গেল মামলা। এদিকে মঙ্গলবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেবেন বলে খবর। কিন্তু তারপর নিজেই জানিয়েছেন তিনি যাবেন রাজনীতির ময়দানে। কিন্তু কোন রাজনীতিতে তিনি নাম লেখাবেন?
তবে এনিয়ে আগেই সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। সেই মতো একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছেন বঞ্চিতদের ভগবান। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত কোথায় যাবেন তা নিয়ে নানা জল্পনা।
তবে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধেই যে তাঁর লড়াই, আমাদের রাজ্যে চৌর্য সাম্রাজ্য চলছে, একথা আগেই বলেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গেই তৃণমূলে যে তিনি যাচ্ছেন না একথা আগেই বলেছিলেন তিনি।
এবিপি আনন্দে সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, বাম দল আছে. কংগ্রেস, বিজেপি আছে, ছোট রাজনৈতিক দল আছে তারা যদি মনে করে টিকিট দেবেন, তখন আমি ভেবে দেখব টিকিট নেব কি নেব না। তবে তিনি যে রাজনীতির বৃহত্তর ময়দানে আসছেন সেটাও জানিয়ে দেন তিনি।
ওই সাক্ষাৎকারে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমার মনে হয়েছে যে আমি আদালতে যে কাজটা করি, সেই কাজের সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। আমার অন্তর বলছে সেটা। এখন হয়ত আমায় বৃহত্তর ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে যেতে হবে।’ তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ‘যখনই প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ক্ষমতাশীল দল, তখনই বলা হয়েছে যে আপনি মাঠে আসুন, মাঠে এসে লড়াই করুন। তো আমি ভেবে দেখলাম যে তাঁরা যখন ডেকেছেন এতই করে, এত ধরনের ব্যঙ্গ করেছেন, এত অপমানজনক কথা বলেছেন, তখন তাঁদের ইচ্ছাটা পূর্ণ হওয়ার দরকার।’
এদিকে তৃণমূলের প্রাক্তন মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বার বারই বিচারপতির বিরুদ্ধে অতীতে মুখ খুলেছেন। কার্যত তীব্র আক্রমণ করেছিলেন তিনি। তবে সেসব আজ অতীত। আবার কুণাল ঘোষের সঙ্গে আলোচনা করতেও দেখা গিয়েছে বিচারপতিকে। এবার সেই বঞ্চিতদের ভগবান বলে পরিচিত বিচারপতিই আসতে চলেছেন রাজনীতির ময়দানে। এনিয়ে কী বলছেন কুণাল ঘোষ?
এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ লিখেছেন,এধরনের মানুষ রাজনীতিতে এলে ভালো। দুটি পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ। একটিতে তিনি লিখেছেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকবে। কিন্তু অন্য গুরুত্বপূর্ণ পেশা থেকে যদি কেউ রাজনীতিতে আসেন তাহলে সংসদীয় গণতন্ত্রের রাজনীতিতে তা স্বাস্থ্যকর বা ইতিবাচক। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে স্বাগত জানাচ্ছি। নতুন ইনিংসের শুভেচ্ছা।