অবিনাশ কুমার
বিহারের রাজনীতিতে বরাবরই দেখা যায় যে আমলা আর পুলিশ অফিসাররা ঢুকে পড়়েন। এই তালিকা বেশ দীর্ঘ। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে আরকে সিং নামে এক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব এনিয়ে তৃতীয়বারের জন্য় ভোটে লড়ছেন। প্রাক্তন আইআরএস অফিসার বৈদ্যনাথ মেহেতা ভিআরএস নিয়ে ভোটযুদ্ধে নেমে পড়়েছেন নির্দল হিসাবে। তিনজন প্রাক্তন আইপিএস তাঁরাও এবার ভোটে লড়ার কথা ভাবছেন।
২০১১ সালের অসম ক্যাডারের আইপিএস অফিসার আনন্দ মিশ্র বক্সার থেকে ভোট লড়ার কথা ভাবছেন। কিন্তু তিনি এখনও কোনও দলের টিকিট পাননি। মনে করা হচ্ছে তিনি নির্দল হিসাবে দাঁড়াচ্ছেন।
তিনি বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, আমি ৭ মে মনোনয়নপত্র জমা দেব। এটা নিশ্চিত। আমি বিজেপির হয়ে লড়তে চেয়েছিলাম। কারণ তাদের সঙ্গে আমার আদর্শ মেলে। কিন্তু টিকিট পাইনি। তবে ভোটে লড়া নিয়ে কোনও দ্বিধা নেই। বক্সার জনতা পার্টির নামে এবার ভোটে লড়ব।
এদিকে ১৯৮৯ ব্যাচের তামিলনাড়ু ক্যাডারের ও ডিজিপি পদের অফিসার বিকে রবি তিন মাস আগে ভিআরএস নিয়েছেন। অপর আইপিএস করুণা সাগরও একই পথে হাঁটছেন। তবে তাঁরাও টিকিট পাননি। তবে বিকে রবি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। সাগর যোগ দিয়েছিলেন আরজেডিতে।
পাটনার বাসিন্দা করুণা সাগর জেহানাবাদ থেকে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। তিনি আরজেডির সর্বভারতীয় মুখপাত্র ছিলেন। তিনি আরজেডিতে যোগ দেওয়ার সময় বলেছিলেন তিনি ভোটে লড়তে চান। পরে টিকিট না পেয়ে তিনি কংগ্রেসে চলে যান। এনিয়ে তেজস্বী যাদব বলেছিলেন কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের বিশেষ ফারাক নেই।
তবে এখানেই শেষ নয়, প্রাক্তন আমলাদের পাশাপাশি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার সহ অনেকেই এবার বিহারের রাজনীতিতে নেমে পড়েছেন। এমনকী প্রশান্ত কিশোরের দলেও নাম লিখিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের আশা যদি আগামী বিধানসভা ভোটে একটা টিকিট মেলে। সেই মতো তারা কাজ করে যাচ্ছেন। কারণ এবার লোকসভা ভোটে পিকের দল লড়তে নামেনি।
তবে এর আগেও বহু প্রাক্তন আমলা বিহারের রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু সকলেই যে সফল হয়েছিলেন তা নয়।
সামাজিক বিশেষজ্ঞ এনকে চৌধুরী বলেন, এটা একটা পুরোনো ট্রেন্ড। আমলারা অনেকেই রাজনীতিতে তাঁদের ভাগ্য পরীক্ষা করতে চান। তবে সকলের জন্য টিকিট দেওয়া এটা একটা সহজ ব্যাপার নয়। তবে রাজনীতির ক্ষেত্রে এটা একটা বড় ব্যাপার যে সমাজের নানা ক্ষেত্র থেকে তাঁরা রাজনীতিতে আসছেন। এটা একটা বড় ব্যাপার।