বৈধ প্লাস্টিক কারখানাতে অবৈধভাবে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক তৈরি হচ্ছে। এমন অভিযোগে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযানের ভিত্তিতে রিপোর্ট দেবেন আধিকারিকরা। তার ভিত্তিতে চূড়ান্ত পদক্ষেপ করবে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় পরিবেশ এবং বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে এই কাজ করা হচ্ছে। আলোচনা ভিত্তিতে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গল-ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে মোদী সরকার, অথচ ব্যান তুলল এই রাজ্য
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রের খবর, সারাদেশে বেআইনি প্লাস্টিক বন্ধে অভিযান চালাচ্ছেন পর্ষদের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই দেশের সমস্ত রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকেও চিঠি দেওয়া হয়। সম্প্রতি দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানতে পেরেছে, বৈধ প্লাস্টিক কারখানাতেও গোপনে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বা নিষিদ্ধ প্লাস্টিক তৈরি করা হচ্ছে। তার ভিত্তিতেই দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান চালানো শুরু করেছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বেআইনি প্লাস্টিকের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে ঠিকই। তবে অনেক কারখানাতেই বেআইনিভাবে তৈরি হচ্ছে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের লক্ষ্য হল সেক্ষেত্রে যে সমস্ত কারখানাতে বেআইনিভাবে প্লাস্টিক তৈরি হচ্ছে সেগুলি চিহ্নিত করা। তারপরে সেই সমস্ত কারখানার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
কেন্দ্রীয় দেশের নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল গত মার্চ মাসে। বলা হয়েছিল, এই নির্দেশিকা পালন করতে হবে না হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হোটেল রেস্তোঁরা, দোকান, স্থানীয় বাজারে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার হচ্ছে কিনা তা চিহ্ন করার জন্য প্রত্যেকটি রাজ্য সরকারকে যৌথভাবে অভিযান চালাতে বলা হয়েছিল। এবং অভিযান সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছিল।
কিন্তু তারপরও দেখা যাচ্ছে অবৈধভাবে অনেক কারখানাতেই নিষিদ্ধ প্লাস্টিক তৈরি হচ্ছে। সেই সমস্ত কারখানাগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। সাধারণত অবৈধ কারখানা চিহ্নিত করা সহজ। কিন্তু বৈধ কারখানায় নিষিদ্ধভাবে প্লাস্টিক তৈরি হলে তা খুঁজে বের করাটাই কঠিন। সেই ধরনের কোন অভিযোগ পেলে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তারপরে কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।