ধর্মতলায় অমিত শাহের সভা ঘিরে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। সকাল থেকেই সভাস্থলে বিজেপির নেতা, কর্মী, সমর্থকদের ভিড় হতে শুরু করে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির এই সভা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছিল। এই আবহে রাজ্য বিজেপিকে তাতিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ শানান অমিত শাহ। দুর্নীতি, সিএএ, অনুপ্রবেশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইস্যুতে আজ সরব হন অমিত শাহ।
দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে তোপ শাহের
এদিকে দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে তোপ দেগে অমিত শাহ মমতাকে চ্যালেঞ্জ করেন, ‘পার্থ, অনুব্রত, জ্যোতিপ্রিয়কে সাসপেন্ড করে দেখান।’
‘সিএএ কার্যকর হবেই’
অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গ তুলে অমিত শাহ দাবি করেন, দেশে শীঘ্রই সিএএ কার্যকর করা হবে। শাহ বলেন, ‘যেখানে এত অনুপ্রবেশ, সেখানে উন্নয়ন হতে পারে না।’ তিনি অসমের তুলনা টেনে আনেন।
'ইউপিএ-র থেকে এনডিএ সরকার বেশি টাকা পাঠিয়েছে বাংলায়'
শাহ বলেন, ‘ইউপিএ সরকার ১০ বছরে যা টাকা দিয়েছে, ৯ বছরে মোদী সরকার তার থেকে অনেক বেশি টাকা পাঠিয়েছে বাংলাকে। কংগ্রেস জমানার সরকার দিয়েছিল ২ লাখ কোটি টাকা। এই ৯ বছরে মোদী সরকার ৬ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।’
কাশ্মীর, রামমন্দির নিয়ে সুর চড়ালেন শাহ
অমিত শাহ বলেন, ‘এই কাশ্মীর কি আমাদের দেশের অংশ। হ্যাঁ কি না? জম্মু ও কাশ্মীরে লাগু ৩৭০ ধারাকে সরানোর জন্যেই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় প্রাণ দিয়েছিলেন। মোদীজি সেই ৩৭০ ধারা বাতিল করেছেন। অযোধ্যায় রামমন্দির হওয়া উচিত কি না? এই কংগ্রেস ও তৃণমূল মিলে রামমন্দিরের কাজ আটকে রেখেছিল।’
‘আগে যেখানে রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনা যেত, এখন সেখানে বোম বিস্ফোরণের আওয়াজ কানে আসে’
অমিত শাহ বলেন, ‘দেশে সবথেকে বেশি রাজনৈতিক হিংসা হয় বাংলায়। এখানে অনুপ্রবেশ এখনও শেষ হয়নি। আগে এই মমতা অনুপ্রবেশের ইস্যুতে সংসদ চলতে দিতেন না। এখন তাঁর সময়কালে এই হচ্ছে। আগে যেখানে বাংলায় সকাল সকাল রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনা যেত, এখন সেখানে বোম বিস্ফোরণের আওয়াজ কানে আসে।’
তৃণমূলের ‘সিন্ডিকট’ নিয়ে তোপ শাহের
অমিত শাহ বলেন, ‘শুভেন্দুকে দিদি বিধানসভা থেকে বের করতে পারবেন। তবে মানুষকে চুপ করানো যাবে না। মা, মাটি, মানুষের স্লোগান তুলে মমতা সরকার গঠন করেছে। বামেদের সরালেও এই সরকারের জমানায় কিছু পরিবর্তন হয়েছে কি? মোদীজি এত টাকা পাঠান বাংলাকে। তৃণমূলের সিন্ডিকেটের লোকরা সাধারণ মানুষের কাছে সেই টাকা পৌঁছতে দেয় না।’
মঞ্চে উঠলেন অমিত শাহ
‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দিয়ে নিজের ভাষণ শুরু করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ। প্রশ্ন করলেন, ‘বাঙালিদের আওয়াজ এত কম কী করে হয়ে গেল?’
মমতাকে ‘চোর’ আখ্যা শুভেন্দুর
সংক্ষিপ্ত ভাষণে মমতার সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন, ‘গতকালকে বিধানসভা থেকে আমাকে তাড়িয়েছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে বলছি লোকসভা নির্বাচনে মমতাকে সাসপেন্ড করবেন তো?’ পরে মমতাকে ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে তোপ দাগেন শুভেন্দু।
বক্তব্য রাখছেন দিলীপ, শান্তনুরা
এদিন দুপুর ১ টা ৬ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেছেন অমিত শাহ। এদিকে, ধর্মতলা তাঁর সভায় আসার অপেক্ষায়। এরই মধ্যে দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ বিশিষ্ট নেতা নেত্রীরা সভায় বক্তব্য রাখছেন।
শাহের সভার আগে বিক্ষোভ
আদালতের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও কেন ব্যারিকেড করল না পুলিশ? সভা মঞ্চের কাছে ঢুকে বাস, গাড়ি। প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ কর্মীদের।
কলকাতায় শাহ
কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন অমিত শাহ। আর কিছুক্ষণেই তিনি ধর্মতলার সভামঞ্চে উপস্থিত হবেন।
শাহকে স্মারকলিপি দিতে চায় ১২টি সংগঠন
চাকরিপ্রার্থী, ডিএ আন্দোলনকারীদের সংগঠন সহ মোট ১২টি সংগঠন নিজেদের দাবি এবং বঞ্চনার কথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি তুলে দিতে চায়। এদিকে সিএএ ও এনআরসির বিরোধিতা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে স্বারকলিপি তুলে দিতে চায় চন্দ্রচূড় গোস্বামীর হিন্দু মহাসভাও।
‘তৃণমূল অসভ্য’, তোপ শুভেন্দুর
আজ শুভেন্দু বলেন, ‘কলকাতায় যে পোস্টার পড়েছে - মোটা ভাই, ভোট নাই… তৃণমূলের সংস্কৃতি এটাই। ওরা অসভ্য। আমার বাড়ির সামনে গিয়েছিল। নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ির সামনে গিয়েছিল। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ঘিরবে বলেছিল। হাই কোর্ট কান মুলে দিয়েছে। ধর্মতলায় এখনই পঁচিশ হাজার লোকের জমায়েত হয়েছে। বেলা ১টার মধ্যে এক লক্ষ লোক ছাড়িয়ে যাবে সেখানে।’
‘বাংলার রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেবে আজকের সভা’
হাওড়া স্টেশন থেকে ধর্মতলার উদ্দেশে মিছিল করে যাওয়া বিজেপি কর্মীদের নেতৃত্ব দেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আজকের সভা বাংলার রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দেবে। বাংলার মানুষ এই সংবিধান বিরোধী এবং দেশবিরোধী সরকারকে উৎখাত করে ফেলবে। বাংলার মানুষ বঞ্চিত। তাঁরা তাদের বঞ্চনার কথা নিজের মুখে অমিত শাহকে বলতে চান। তাই তাঁরা আজ ধর্মতলামুখী। আমরা এই সব অভিযোগ সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করব।’
'বিজেপির জয়, দিদির হার নিশ্চিত'
সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় অমিত শাহ লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির নেতৃত্বে বাংলার মানুষের প্রথম পছন্দ এখন বিজেপি। আগামী নির্বাচনে বিজেপির জয় এবং মমতা দিদির তৃণমূলের হার নিশ্চিত। আজ কলকাতায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখার জন্য মুখিয়ে আছি।’
ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ধর্মতলা
এই মুহূর্তে ধর্মতলায় বিজেপির কর্মীরা আসতে শুরু করে দিয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা ধর্মতলা চত্বর। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই প্রতিবাদী মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখবেন।
উত্তেজনা ছড়াল ধর্মতলায়
উত্তেজনা ছড়াল ধর্মতলায়। সভার অনুমতি থাকা সত্ত্বেও ধর্মতলায় ব্যারিকেড না দেওয়া নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অভিযোগ, ব্যরিকেড না থাকায় বাস চলে আসছে বিজেপি কর্মীদের কাছে। এতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই আবহে বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের নেতৃত্বে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তৃণমূলের কালা দিবস পালন
তৃণমূলের কালা দিবস পালন। বিধানসভায় কালা দিবস পালন করবে তৃণমূল। বুধবার বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়কদের কালো পোশাক পরে আসার নির্দেশ দিল পরিষদীয় দল।
‘মোটা ভাই, ভোট নাই’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ধর্মতলার সভার আগে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার পড়ল তাঁকে কটাক্ষ করে। তৃণমূলের আইটি সেলের তরফ থেকে দেওয়া সেই পোস্টারে লেখা - ‘মোটা ভাই, ভোট নাই’।
শাহকে ৫১ হাজার চিঠি তৃণমূলের
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে ৫১ হাজার খোলা চিঠি দিল তৃণমূল। চিঠিতে বকেয়ার দাবি জানানো সহ বেশ কিছু প্রশ্ন রেখেছেন তৃণমূল যুব সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।
বিজেপির মেন্যুতে কী কী আছে?
বাঁকুড়া, বীরভূম,পুরুলিয়া, মেদিনীপুর, হুগলি ও অন্যান্য জেলা থেকে ট্রেনে কর্মীরা আসছেন হাওড়ায়। সেখানে তাদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। তাদের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় তার জন্য সব ব্যবস্থা করছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের মেন্যুতে রয়েছে ডাল-সব্জি, ভাত, চাটনি।
শাহকে স্বাগত জানাতে যাবেন শুভন্দু-সুকান্ত
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দুপুর সওয়া ১ টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছবেন অমিত শাহকে স্বাগত জানাতে। এরপর সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে রেসকোর্সে আসবেন অমিত শাহ। তারপরে সড়কপথে পৌনে ২ টো নাগাদ তিনি সভাস্থলে পৌঁছবেন। আড়াইটা নাগাদ বক্তব্য দিতে পারেন অমিত শাহ।
ড্রপবক্স চমক
সভাস্থলে ১০টি ড্রপবক্স রাখা হবে। সেখানে কেন্দ্র এবং রাজ্য প্রকল্প থেকে যারা বঞ্চিত তারা নিজেদের অভিযোগ জমা দিতে পারবেন।
শাহি সভায় বিজেপির হয়ে বক্তব্য রাখেন কারা?
বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ ধর্মতলায় বিজেপির সভায় বক্তৃতা রাখবেন। সভায় অমিত শাহের পাশাপাশি বক্তব্য রাখবেন রাজ্য নেতারা। এছাড়াও তার আগে চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানেও অংশ নেবেন বিজেপির নেতারা। সকাল থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। সেই অনুষ্ঠানে গান করবেন কবিয়াল বিধায়ক অসীম সরকার। কবিতা আবৃত্তি করবেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। এসবের পরেই বক্তৃতা শুরু করবেন বিজেপি নেতারা।