পুরভোটের দামামা বেজেছে রাজ্যে। আর তার প্রস্তুতি কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। পর পর ২ দিন কলকাতার বুকে হয়েছে বিশাল ২ সভা। দলীয় নেতাকর্মীদের তাতাতে তাতে পর্যাপ্ত ভোকাল টনিক দিয়েছে নেতৃত্ব। বিধানসভা নির্বাচনের সেমিফাইনাল ধরে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি ও তৃণমূল। কিন্তু নজর যে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন তাও গোপন করছেন না কেউ। এই পরিস্থিতিতে অমিত শাহ রবিবার বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন আসল খেলা শুরু হবে পুরভোটের পরে।
রবিবার রাতে রাজারহাটের হোটেলে রাজ্যনেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে শাহ বলেন, ‘২০২১ সালে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসতে চলেছে এটা আগে বিশ্বাস করতে হবে দলের নেতাদের।‘ আর তা বিশ্বাস করাতে এপ্রিল থেকে মাসে ৩ দিন পশ্চিমবঙ্গে কাটাবেন তিনি। সেপ্টেম্বর থেকে মাসে ৭ দিন তিনি থাকবেন এরাজ্যে।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে চোখ ধাঁধানো ফল করলেও তার পর থেকে একের পর এক নির্বাচনে হেরে চলেছে বিজেপি। সেজন্য নানাবিধ কারণ খুঁজে বার করেছে নেতৃত্ব। কোথাও প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা তো কোথাও মুখের অভাব, সব মিলিয়ে বিজেপির হারের ধারা অব্যাহত। এরই মধ্যে মহারাষ্ট্রের মতো বড় রাজ্য জোট শরিকের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে হাতছাড়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যে কোনও উপায়ে পশ্চিমবঙ্গ দখল করতে মরিয়া মোদী – শাহ।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় প্রচার ও রণকৌশল পুরোপুরি নিজে হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে চান শাহ। সঙ্গে থাকবেন জেপি নড্ডা। সাম্প্রতিককালে বিজেপি নেতৃত্বের সাফল্যের ধারাবাহিকতা নিয়ে যে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তার জবাব দিতে নিজেই মাঠে নামবেন শাহ।
বলে রাখি, গত লোকসভা নির্বাচনের আগেও ঘনঘন সফরে প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন মোদী ও শাহ। যার জেরে বিজেপি ২ থেকে বেড়ে ১৮ হয়েছে এরাজ্যে।
১৯৯৯ সালে গণিখানের ‘এবার, নয় নেভার’ নির্বাচনে তৃণমূলকে রুখে দিয়েছিল বামেরা। এবার কি বিজেপির আনকোরা সংগঠনকে রুখতে পারবেন মমতা। জানতে অপেক্ষা করতে হবে ২০২১-এর মে পর্যন্ত।