লোকসভা নির্বাচনের মুখে কংগ্রেস ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন যুবনেতা কৌস্তভ বাগচী। শনিবার শিলিগুড়িতে সভা করতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বাংলাকে বাঁচানোর আর্জি জানিয়ে রক্তে লেখা একটি চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠি পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন কৌস্তভ। তবে বাংলায় লেখা সেই চিঠিতে ছত্রে ছত্রে রয়েছে বানান ভুল। যা নিয়ে হাসাহাসি শুরু করেছেন নেটিজেন থেকে শুরু করে বিরোধীরা।
আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দিলেন কৌস্তভ বাগচী, বিকল্প শক্তির সন্ধানে গেলেন গেরুয়া শিবিরে
চিঠিতে লেখা হয়েছে, মোদীজি বাংলাকে বাঁচান, চোরদের তাড়ান। তবে সে ক্ষেত্রে চিঠিতে বানান লেখা হয়েছে, ‘মোদীজী বাংলাকে বাচান চোরেদের তারান।’ যা থেকে স্পষ্টভাবেই বোঝা যাচ্ছে কতগুলি বানান ভুল। প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া এই চিঠি নিজের এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছি। আমার রক্তে হাতে লেখা চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে তুলে দিয়েছি। তিনি চিঠি গ্রহণ করেছেন। তবে রক্ত দিয়ে চিঠি লেখার জন্য তিনি বাবার মতোই আমাকে বকাবকি করেছেন। আর সেই কারণে উনি সবার থেকে আলাদা।’ তবে এরকম বানান ভুল নিয়ে রীতিমতো হাসাহাসি শুরু করে দেন নেটিজেনরা।
সেক্ষেত্রে একজন কটাক্ষ লিখেছেন, ‘দাদা অতটা রক্ত দিয়ে কারো প্রাণ বাঁচাতে পারতেন। আর আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলা জানেন না বলে এরকম ভুলভাল বানান লেখে ওনাকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছেন। বাঙালি হিসেবে আমি মর্মাহত।’ শুধু তাই নয়, কোন কোন ক্ষেত্রে বানান ভুল সে বিষয়টিও উল্লেখ করে দিয়েছেন অনেকেই। একজন আবার কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘বাংলা লিখতে জানে না সে হবে নেতা!’
প্রসঙ্গত, লোকসভার আগে দল বদল করে রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট আলোচনায় এসেছেন কৌস্তভ। এতদিন ধরে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও কেন এই তরুণ নেতা পদ্ম শিবিরে গেলেন? তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছ। কিন্তু, তাতে অবশ্য মাথা ঘামাতে রাজি নন কৌস্তভ। একই সঙ্গে সমালোচকদের জবাব দেওয়ারও প্রয়োজন মনে করেননি তরুণ দলবদলু নেতা। অনেকেরই বক্তব্য, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তিনি এখন সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন। তাই রক্তে চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে।
প্রসঙ্গত, গত বছর হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। তা নিয়ে যথেষ্ট সরগরম হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। এরপর থেকে বঙ্গ রাজনীতিতে কৌস্তভকে ঘিরে আলোচনা বেড়েছে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে নিয়ে আলোচনা আরও কিছুটা বেড়ে গিয়েছে।