বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Marital Fraud: স্ত্রী বাংলাদেশি, ভারতীয় নাগরিক হতে আমাকে ব্যবহার করেছেন, FIR তিলজলার ব্যবসায়ীর

Marital Fraud: স্ত্রী বাংলাদেশি, ভারতীয় নাগরিক হতে আমাকে ব্যবহার করেছেন, FIR তিলজলার ব্যবসায়ীর

অভিযোগকারী স্বামী তাবিস এহেসান ও অভিযুক্ত স্ত্রী নাজ়িয়া আমব্রিন কুরেইশি। ফাইল ছবি 

প্রথম বিয়ে গোপন করে, ভুয়ো পরিচয়ে বিয়ে করার অভিযোগ বাংলাদেশি মহিলার বিরুদ্ধে। পুলিশ নিষ্কৃয় দাবি ব্যবসায়ীর। 

ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে তাঁকে ব্যবহার করেছেন বাংলাদেশি স্ত্রী। এই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হলেন কলকাতার এক ব্যবসায়ী। বিয়ের ১৪ বছর পর তাবিস এহেসান নামে ওই ব্যবসায়ী জানতে পারেন স্ত্রী নাজ়িয়া আমব্রিন কুরেইশি আসলে বাংলাদেশি নাগরিক। এর পরই আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

আসানসোলের বাসিন্দা ৩৭ বছরের ব্যবসায়ী তাবিসের সঙ্গে ২০০৯ সালে বিয়ে হয়েছিল নাজ়িয়ার। বিয়ের সময় নিজেকে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বলে দাবি করেন ওই মহিলা। দুই পরিবারের তরফে বিয়ে মেনেও নেওয়া হয়েছিল। ফলে আর কোনও সমস্যা হয়নি।

ইন্ডিয়া টুডে-কে তাবিস জানিয়েছেন, নাজ়িয়ার সঙ্গে আমার একটি বিয়েবাড়িতে দেখা হয়। দুই পরিবারের সম্মতিতে আমরা বিয়ে করি। দেখাশোনা করেই বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নাজ়িয়া আমাকে জানিয়েছিলেন তিনি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। উত্তর প্রদেশেই বড় হয়েছেন তিনি। প্রাথমিকভাবে তাঁর দাবিতে আমার কোনও সন্দেহ হয়নি।

তাবিস বলেন, ‘আমাদের দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের আগে নাজ়িয়া হঠাৎ উত্তর প্রদেশে বাবার বাড়ি চলে যান। এর পর শ্বশুরবাড়ি থেকে আমাকে জানানো হয় তিনি আর ফিরবেন না। এমনকী আমাকে হুমকি দেওয়া হয়। আমার বিরুদ্ধে বধূনির্যাতনের মামলা করেন নাজ়িয়া। সেই মামলায় আমি আলিপুর কোর্ট থেকে জামিন পাই। তখনই আমি জানতে পারি, নাজ়িয়া ভারতীয় নন, তিনি বাংলাদেশি নাগরিক।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানতে পারি, আমার স্ত্রী এর আগে বাংলাদেশে একবার বিয়ে করেছিলেন। এক শিক্ষককে বিয়ে করেন তিনি। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা করে তাঁকে বিবাহবিচ্ছেদ দিতে বাধ্য করেন।’

তিনি বলেন, ‘এর পর অবৈধ উপায়ে ভারতে চলে আসে নাজ়িয়ার গোটা পরিবার। এর পর ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে আমাকে বিয়ে করে সে। তারা চক্রান্ত করে আমাকে ব্যবহার করেছে।’ এর পর তিলজলা থানায় নাজ়িয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তাবিস। তাঁর অভিযোগ, ‘পুলিশ আমার অভিযোগের ব্যাপারে নিষ্ক্রিয়’।

তাঁর আরও দাবি, ২০০৭ – ২০০৯ সাল পর্যন্ত কানাডায় ছিলেন। কী ভাবে পাসপোর্ট ছাড়াই তিনি কানাডার ভিসা পেলেন তারও তদন্ত প্রয়োজন। এব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, পাসপোর্ট দফতরসহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিভাগে চিঠিও লিখেছেন তিনি।

 

 

বন্ধ করুন