চিরঞ্জীব পাল
ব়্যাগিংয়ের জেরে 'আত্মহত্যা'র পথ নিয়েছিল বনহুগলি বিশেষ ভাবে সক্ষমদের (NILD) হাসপাতালের ছাত্র প্রিয়রঞ্জন সিং-এর মানতে রাজি নন ওই হাসপাতালের পড়ুয়ারা। তাদের দাবি, সুইসাইড নোট ভাল করে পড়লেই বোঝা যাবে তাঁর মৃত্যুর কারণ ব়্যাগিং নয়। মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ থাকতে পারে।
হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা পরিষেবার দাবিতে পডুয়াদের ধর্না বুধবার তাঁরা তুলে নিয়েছেন। তবে দাবি না মেটা পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
ব়্যাগিংয়ে অভিযোগ তুলে প্রিয়রঞ্জনের দাদা পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন। সেই অভিযোগে এক ছাত্রী-সহ ৯ পডুয়ার নাম রয়েছে। পড়ুয়ারা সংস্থার ডিরেক্টরকে দাবিপত্র জমা দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে ওই ৯ ছাত্রকে আইনি সহায়তা দিতে হবে।
কেন এই দাবি? সংস্থার তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্র নীলকণ্ঠ ভট্টাচার্যের কথায়,'দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্র ছিল প্রিয়রঞ্জন। সকলের সঙ্গেই তাঁর চেনাজানা। তাই কী করে তার সঙ্গে ব়্যাগিং হতে পারে। তাঁর সইসাইড নোট পড়লেই বোঝা যাবে মৃত্যুর কারণ অন্য কিছু।' ঘটনার আগে সে হোস্টেলের অন্যান্য ছাত্রদের সঙ্গে হেসেই কথা বলেছে। তাঁর দাবি, যদি প্রিয়রঞ্জন ব়্যাগিংয়ের শিকার হতেন তবে তার ইঙ্গিত কথাবার্তায় থাকত।
প্রিয়রঞ্জনের সঙ্গে ব়্যাগিং হয় প্রথমবর্ষে থাকাকালীন। সে কারণে সংস্থার অ্যান্টি ব়্যাগিং সেল অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। তাঁদেরই নামই প্রিয়রঞ্জনের দাদা এফআইআর দিয়েছে বলে জানিয়েছেন নীলকণ্ঠ।
তিনি আরও দাবি করেছেন,'সুইসাইড নোটে একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কেরও ইঙ্গিত দিয়েছে প্রিয়রঞ্জন। তার জেরে মৃত্যু কি না তাও পুলিশকে খুঁজে বার করে দেখতে হবে।' তবে কারণ যাই হোক না কেন, দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করার পর যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা হতে তবে হয়তো বেঁচে যেত প্রিয়রঞ্জন, তেমনটাই মনে করছেন পড়ুয়ারা।