কলকাতা এবং শহরতলির উড়ালপুলগুলিতে চিনা মাঞ্জায় দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রায়ই চিনা মাঞ্জায় জড়িয়ে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। সেক্ষেত্রে কখনও সুতো জড়িয়ে গলার নলি কেটে যাওয়ার ঘটনা যেমন ঘটেছে তেমনি আবার শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। রাজ্যের দীর্ঘতম সম্প্রীতি উড়ালপুলেও এই ধরেনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এই ধরনের দুর্ঘটনা আটকাতে শহরের উড়ালপুলগুলিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই পথে হেঁটে এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার জিঞ্জিরা বাজার থেকে বাটানগর পর্যন্ত বিস্তৃত এই উড়ালপুলেও এই ধরনের দুর্ঘটনার রুখতে বিশেষ উদ্যোগী হল মহেশতলা পুরসভা। এর জন্য উড়ালপুলের দুই পাশে লাগানো হচ্ছে ৬ ফুট লোহার ব্যারিকেড।
আরও পড়ুন: ফের চিনা মাঞ্জায় দুর্ঘটনা ‘মা উড়ালপুলে’, মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গেলেন মহিলা
শুধু চিনা মাঞ্জায় দুর্ঘটনা নয়, এর ফলে দুর্ঘটনার কবলে পড়লে যাতে কোনও গাড়ি উলটে উড়ালপুল থেকে নিচে পড়ে যাওয়ার প্রবণতাও কমবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কয়েক মাস আগে মহেশতলার কাউন্সিলর গোপাল সাহা নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি লেখেন। সাংসদ সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এই উড়ালপুলে লোহার ব্যারিকেড বসানোর ওপর সম্প্রতি দেন। সেইমতো আজ জিঞ্জিরা বাজার থেকে মহেশতলা পর্যন্ত সম্প্রীতি উড়ালপুলে ৬ ফুট লম্বা লোহার ব্যারিকেড বসানোর কাজ শুরু হল। রাস্তার দুপাশে তা লাগানো হচ্ছে।
স্থানীয় কাউন্সিলর গোপাল সাহা জানিয়েছেন, ‘কয়েক মাস আগে আমি চিঠি লিখে বিষয়টি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলাম। তাতে কিছু মানুষ তাঁকে বলেছিলেন চিঠি লিখলে কিছুই ফল হয় না।’ গোপাল সাহা বলেন, ‘তিনি বিশ্বাস করেন মানুষের কাজ করার জন্য তিনি প্রতিনিধি হয়েছেন। এই উড়ালপুলে যদি কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটে হয়তো মানুষ সেটা ভুলে যায়। কিন্তু যে বাড়িতে দুর্ঘটনায় ঘটে তাদের যে ক্ষতি হয় সে ক্ষতিটা সারাজীবন মতো বয়ে বেড়াতে হয়। তাই আমি নিজে এই কাজে দেখভাল করার দায়িত্ব নিয়েছি। এদিন লোহার ব্যারিকেড লাগানো শ্রমিকদের হাতে জলের বোতল এবং খাবার তুলে দেন কাউন্সিলর। ইন্দ্রজিৎ ভুঁইয়া নামে এক বাইক আরোহী বলেন, ‘চিনা মাঞ্জা চোখে মুখে লেগে যাওয়ার ঘটনা প্রায় ঘটে। তাছাড়া অনেক সময় বড় গাড়ি পাশ করতে গিয়ে উড়ালপুর থেকে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে লোহার ব্যারিকেড না হলে এটা আর হবে না। এটা খুবই ভালো কাজ।’