বেহালার ঘাতক ট্রাকের চালক ও খালাসিকে আদালতে পেশ করল পুলিশ। শনিবার ট্রাকটির চালক জয়দেব দত্ত ও খালাসি সুজিত খাঁকে আদালতে পেশ করে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ। শুক্রবারই ২ অভিযুক্তকে পূর্ব বর্ধমান থেকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।
শুক্রবার সকালে বড়িশা হাই স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের ছাত্র সৌরনীলকে স্কুলের সামনেই পিষে মেরে পালায় একটি মাটি বোঝাই ট্রাক। ঘটনার পর অভিভাবকদের বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। শুক্রবার দুপুরেই কোনা এক্সপ্রেসওয়ের পাশ থেকে ঘাতক ট্রাকটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তল্লাশি চালিয়ে পূর্ব বর্ধমান থেকে ট্রাকের চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করেন ঠাকুরপুকুর থানার তদন্তকারীরা। এর পর ৩০৪ বি ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।
শনিবার আলিপুর আদালতে পেশ করে ধৃতদের হেফাজতে চেয়েছে পুলিশ। লালবাজার সূত্রে খবর, ধৃতদের আরও জেরা করতে চান তদন্তকারীরা।
ঘটনার পর দিন শনিবার ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন কলকাতা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল তা বোঝার চেষ্টা করেন তাঁরা। শনিবার সকালে বেহালা চৌরাস্তায় ট্রাফিক ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। ব্যারিকেড লাগিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে যানের গতি। পথচারীদের আটকাতে বসানো হয়েছে গেট। যা দেখে স্থানীয়দের মন্তব্য, এই ব্যবস্থার জন্য একটা শিশুকে প্রাণ দিতে হল কেন? এসব কয়েকদিন থাকবে। তার পর যেমন কে তেমন হয়ে যাবে।