গোটা দেশ জুড়ে করোনার সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এনিয়ে শুক্রবার জরুরী ভিত্তিতে মিটিংও করেছেন। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মক ড্রিল করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। মোটের উপর কোভিড মোকাবিলার ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলি কতটা তৈরি রয়েছে সেটা দেখতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে বাংলার কোভিড পরিস্থিতি ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে?
তবে এনিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, রাজ্যে করোনার সংক্রমণ অল্প পরিমাণে বেড়েছে। কিছু রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। তবে সেই রোগীদের প্রত্যেকেরই কো মর্বিডিটি ছিল। অর্থাৎ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগে তাঁরা অন্য রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
পরিসংখ্যান অনুসারে রাজ্যে প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩০জনকরে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। অর্থাৎ বাংলা থেকে করোনা একেবারে উধাও হয়ে গিয়েছে এমনটা নয়। এদিকে কেন্দ্রের সঙ্গে করোনা মোকাবিলা সম্পর্কিত মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যে স্বাস্থ্য সচিব।
তবে রাজ্যে করোনা মোকাবিলা সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, রাজ্যে করোনা সামান্যই বেড়েছে। তবে রাজ্যে আগাম প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। হাসপাতালে কোভিড মোকাবিলার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সহ অন্যান্য বিষয়গুলি যথাযথ রয়েছে কি না তা দেখা হচ্ছে।
তবে করোনার বিষয়টিকে একেবারেই হালকা ভাবে দেখতে রাজি নয় কেন্দ্র। কারণ করোনার ঢেউ আছড়ে পড়লে কী হতে পারে তার সাক্ষী রয়েছে গোটা দেশ। সেক্ষেত্রে সেই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেটা দেখা হচ্ছে। করোনার পরীক্ষা, টিকাকরণ, জিনোম সিকোয়েন্সি সংক্রান্ত গবেষণার উপর জোর দিতে বলেছে কেন্দ্র।
এর সঙ্গেই ১০-১১ এপ্রিল গোটা দেশ জুড়ে মক ড্রিলের আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ কোভিড মোকাবিলার ক্ষেত্রে কতটা তৈরি রয়েছে দেশ সেটাই একবার খতিয়ে দেখা হবে। মূলত হাসপাতালের পরিস্থিতিগুলি খতিয়ে দেখা হবে।
এদিনের বৈঠকে করোনা সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে।
এবার দেখে নেওয়া যাক করোনা সংক্রমণের নিরিখে গোটা দেশের চিত্রটা ঠিক কেমন?
কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক কী বলছে কোভিড নিয়ে?
সমস্ত রাজ্যকে অনুরোধ করা হয়েছে এমার্জেন্সি হটস্পটগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে। মূলত যে সমস্ত জায়গা থেকে কোভিড ছড়াতে পারে সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেতে হবে। হাসপাতালগুলি কোভিড মোকাবিলার ক্ষেত্রে কতটা তৈরি রয়েছে সেটা খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে নতুন করে ৬,০৫০ কোভিড আক্রান্তের খবর মিলেছে।
এদিকে পরিসংখ্যান বলছে গত কয়েকদিন ধরে দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। কোভিডের গ্রাফ উর্ধমুখী। আগের হিসাবে দেখা যাচ্ছে গত ১ এপ্রিল কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৯৯৪জন, ২ এপ্রিল ৩৮২৪, এপ্রিল ৩ তারিখে সেই সংখ্যা এসে দাঁড়ায় ৩৬৪১জন, ৪ এপ্রিল কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৩৮জন, ৫ এপ্রিল সেই সংখ্য়া দাঁড়িয়েছিল ৪৪৩৫জন।