প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলা নয়, শুধুমাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংক্রান্ত মামলাটিই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতির নির্দেশ শুনে প্রাথমিকভাবে তাই মনে হয়েছে। বললেন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরিপ্রার্থীদের প্রধান আইনজীবী তথা রাজ্যসভায় বাম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তবে রায়ের কপি হাতে পেলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট থেকে খবর আসে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলা থেকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে অব্যহতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এর পর বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হয়। এরই মধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আদালত বলছে এতা তাদের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এব্যাপারে কারও কোনও বক্তব্য শোনেননি প্রধান বিচারপতি। তবে রায়ে আমার মনে হয়েছে শুধুমাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংক্রান্ত মামলাটিই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রায়ের কপি দেখলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।’
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে নির্দেশ দিয়েছেন, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলা থেকে অব্যহতি দিতে হবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর বিচারাধীন মামলাগুলিকে অন্য বিচারপতির এজলাসে স্থানান্তর করতে হবে। তবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া রায়ের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সর্বোচ্চ আদালত। বিচারাধীন বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়াতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মামলা স্থানান্তরের ফলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত অনেকে। তাদের ধারণা, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের তৎপরতার জন্যই নিয়োগ দুর্নীতির ব্যাপকতা প্রকাশ্যে এসেছে।