কোচবিহারের ভেটাগুড়িতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচী রবিবারই পালন করেছিল তৃণমূল। আর এবার তারই পালটা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করলেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। সোমবারই বিজেপির রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন এই ধরনের বাড়ি ঘেরাওয়ের রাজনীতি করবেন না। আমরাও তবে পালটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ঘেরাও করতে বাধ্য হব।
আর মঙ্গলবার দুপুরেই দলে দলে বিজেপির নেতা কর্মীরা গণেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউ ধরে তারা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির দিকে এগোতে থাকেন। বিজেপির রাজ্য দফতর থেকে তারা দক্ষিণ কলকাতার দিকে এগোতে থাকেন। এদিকে বিজেপির দাবি বাড়ি ঘেরাওয়ের প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। এদিকে মিছিল এগিয়ে যেতেই আটকে দেয় পুলিশ। বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় মোতায়েন করা হয়। তবে যোগাযোগ ভবনের সামনে তাদের আটকে দেয় পুলিশ।
বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, বাড়ি ঘেরাও রাজনীতি করে না বিজেপি। যেভাবে নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ঘেরাও করেছিল তৃণমূল তাকে ধিক্কার জানাই আমরা। তবে যদি এভাবে বাড়ি ঘেরাও রাজনীতি করে তৃণমূল তবে আমাদেরও পালটা অভিষেকের বাড়ি ঘেরাওয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এটা আমরা কিছুতেই মানব না।
এদিন ভবানীপুরের দিকেও অপর একটি মিছিল যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। সেই মিছিলকেও পুলিশ আটকে দেয়। এদিকে বিজেপির এই মিছিলকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
এদিকে রাজনৈতিক মহলের মতে, কোচবিহারের দিনহাটার ভেটাগুড়িতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ির সামনে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে। খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘেরাও কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরই এনিয়ে প্রস্তুতি নেয় তৃণমূল। তবে আগে থেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ির সামনে প্রচুর পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। সেক্ষেত্রে সেখানে বড় কোনও অশান্তি হয়নি।
তবে এদিন পালটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলে প্রতিবাদ। তবে মাঝপথেই সেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। কয়েকজনকে আটকও করা হয়। তবে বিজেপি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, তারা ঘেরাওয়ের রাজনীতিকে সমর্থন করেন না। কিন্তু তৃণমূল বাংলায় এই রাজনীতির সূচনা করছে। কার্যত বাধ্য হয়ে বিজেপিকেও সেই দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।