এর আগে পরপর বিজেপির আনা মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ হওয়ায় বিধানসভার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা বলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে এবার সেই অধ্যক্ষের প্রশংসাই শোনা গেল বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গার গলায়। টিগ্গা বলেন, ‘বিরোধী দলকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে অধ্যক্ষ পরিষদীয় রীতিনীতি এবং সংবিধানের গরিমাকে বৃদ্ধি করেছেন।’
এর আগে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘বাজেট অধিবেশনে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে।’ সেই শুভেন্দুর দলেরই বিধায়ক গতকাল শীতকালীন অধিবেশনের সমাপনী দিনে ধন্যবাদজ্ঞাপন ভাষণে টিগ্গা বলেন, ‘অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে এবং দক্ষতার সঙ্গে শাসক ও বিরোধী দল সবাইকে সমান গুরুত্ব দিয়ে সভা পরিচালনা করেছেন অধ্যক্ষ। এবার অধিবেশন পরিচালনায় পরিষদীয় রীতিনীতি মেনে যেভাবে অধ্যক্ষ সভা পরিচালনা করেছেন, তা প্রশংসনীয়। বিধানসভায় বিরোধীদের বলতে দেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ করে দিয়েছেন আপনি।’ যদিও শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, অধিবেশনে বিরোধীদের বলার সুযোগ দিচ্ছেন না অধ্যক্ষ। এদিকে অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, এবারের অধিবেশনে ৭২৫টি প্রশ্ন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে বিরোধী দলের প্রশ্নের সংখ্যা ছিল ৪৯৬, শাসক দলের প্রশ্ন ছিল ৬৮টি। প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধীদের ১২৬টি প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়।
টিগ্গা এবং শুভেন্দুর বিপরীত ‘অবস্থান’ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে খোঁচা দেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে গিয়ে নিজের পরিষদীয় দলের কাছেই অনাস্থার মুখে পড়লেন বিরোধী দলনেতা।’ উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলবার গঙ্গাভাঙন নিয়ে কেন্দ্রের কাছে যৌথ প্রতিনিধি দল পাঠানোর প্রস্তাবে সায় দিয়েছিলেন মনোজ টিগ্গা। ১২ সদস্যের দলে ৭ জন তৃণমূলের এবং ৫ জন বিজেপির হওয়ার কথা ছিল। তবে শুভেন্দু পরে জানান, একসঙ্গে দিল্লি যাওয়ার প্রশ্নই নেই। সূত্রের খবর, এভাবে প্রস্তাবকে সায় দিয়ে পরে তা থেকে মুখ ফেরানোর বিষয়টি মানতে পারেননি অনেক আদি বিজেপি নেতা।