তিনবার সরাসরি দলের ব্যানারে দুর্গাপুজো করেছেন বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। এবার তা হবে না বলেই ঠিক হয়েছিল। কিন্তু ১০ দিন আগেই ঠিক হয়েছে এবারও দুর্গাপুজো হবে। তবে তাতে দলের নাম থাকছে না। দলীয়ভাবেও হবে না। কিন্তু দলের কিছু নেতার উদ্যোগ সেখানে দেখা যাবে। এবারও দুর্গাপুজো হবে বিধাননগরের ‘পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্র’তে (ইজেডসিসি)। তবে সেটা বিজেপির নামে নয়। কিন্তু দলীয় কর্মীদের আয়োজনে সেই দুর্গাপুজোর আয়োজকরা নিজেদের সংগঠনের পরিচয় দিচ্ছেন ‘ভারতীয় সংস্কৃতি মঞ্চ’ নামে।
এদিকে ২০২০ সালে বিজেপির দুর্গাপুজোর শুরু হয়েছিল। তখন প্রধান উদ্যোগী ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে আসা সব্যসাচী দত্ত এবং মুকুল রায়। এখন আবার তাঁরা তৃণমূলে ফিরেছেন। তৎকালীন পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কেও দেখা গিয়েছিল। তখন ভার্চুয়ালি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপি ২০২১ সালে নামমাত্র দুর্গাপুজো সারে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেভাবে সাফল্য আসেনি। উলটে জেতা আসন ধূপগুড়িও হাতছাড়া হয়েছে। তাই আর দলীয়ভাবে দুর্গাপুজো হচ্ছে না। দলের নেতাদের আয়োজনে হতে চলেছে দুর্গাপুজো।
অন্যদিকে ২০২২ সালের দুর্গাপুজোর দশমীতেই বিজেপির দুর্গাপুজোর স্থায়ী ‘বিসর্জন’ হয়ে যায়। এখন বিজেপি নেতার দুর্গাপুজো বলতে কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে সজল ঘোষের দুর্গাপুজো। সেখানে হেভিওয়েট কাউকে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। আর রাজ্যে ১০০টি দুর্গাপুজোর সঙ্গে দলীয় নেতারা যাতে যুক্ত থাকতে পারেন তারও উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি। কিন্তু সেভাবে বিষয়টি ঘটেনি। ‘ভারতীয় সংস্কৃতি মঞ্চ’র নামে এখন হচ্ছে দুর্গাপুজো। যাতে যুক্ত আছেন দলের সাংস্কৃতিক শাখার নেতারা। এই শাখার প্রধান অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, ‘এবারের দুর্গাপুজো দল বা দলের সাংস্কৃতিক শাখা করছে না। বিজেপির কিছু কর্মী নিজেদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে করছেন। তাতে সাংস্কৃতিক শাখার কয়েকজন কর্মীও আছেন।’
আরও পড়ুন: আবার বেঙ্গল লাইনে প্রবেশ প্রকাশ কারাতের, সিপিএমের প্রতিষ্ঠা দিবসে ব্রাত্য ইয়েচুরি?
ঠিক কী বলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? দুর্গাপুজোর জায়গা এক থাকলেও এটা বিজেপির দুর্গাপুজো নয় বলেই জানান দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই দুর্গাপুজোর খুঁটি পুজোয় আমন্ত্রিত থাকলেও যাননি সুকান্ত মজুমদার। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘এটা দলের দুর্গাপুজো নয়। তবে দলের কয়েকজন কার্যকর্তার উদ্যোগেই দুর্গাপুজো হচ্ছে। তার বেশি কিছু নয়। দুর্গাপুজোর সময় আমি কোথায় থাকব, কী কর্মসূচি হবে, সেটা এখনও ঠিক হয়নি।’ আর বিজেপির সাংস্কৃতিক শাখার সদস্য রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা ছোট আয়োজনে দুর্গাপুজো করছি। তবে তার মধ্যেও একটা থিম আছে। নারী ক্ষমতায়নের উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে।’