লোকসভা নির্বাচনে প্রাক্কালে ইন্ডিয়া জোটের আসন ভাগাভাগির জট চরমে উঠেছে। রাহুল গান্ধী বলছেন, মমতাজির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল। সমাধান বেরিয়ে আসবে। আজ বুধবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় প্রকাশ্যে জানিয়ে দেন, রাজ্যের ৪২টি আসনেই একা লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলায় একাই লড়াই করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার মুখ খুললেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা জয়রাম রমেশও। তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়েই এগোতে চান। এমন বার্তা দিয়েছেন। এই আবহে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে বিজেপি। তাই টুইট করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান তথা বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্য।
এদিকে বুধবার অসমের বঙ্গাইগাঁওতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জয়রাম রমেশ বলেন, ‘মমতাজির পুরো বয়ান আমি পড়িনি। তবে উনি বলেছেন উনি বিজেপিকে হারাতে চান। বিজেপিকে হারাতে এক পাও পিছিয়ে আসবেন না। আমরা একটা লম্বা রাস্তা পাড়ি দিচ্ছি। সেই রাস্তায় কখনও স্পিড ব্রেকার চলে আসে। কখনও লালবাতি জ্বলে যায়। তার মানে এই নয় যে, আমরা পিছিয়ে যাব। লালবাতি সবুজ হয়ে যায়। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’ জয়রাম যখন এই কথা বলছেন তখন গোটা বিষয়টি ঘেঁটে দিতে চাইছে বিজেপি। অমিত মালব্য তাই টুইট করে লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক লড়াই করার সিদ্ধান্ত আসলে বেপরোয়া ভাবের লক্ষণ। নিজের রাজনৈতিক ভিত্তি ধরে রাখতে পারেনি, তিনি সব আসনে লড়তে চাইছেন। তিনি আশা করেন নির্বাচনের পর তিনি প্রাসঙ্গিক থাকবেন।’
অন্যদিকে আজ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোট নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেসকে। তাঁর কথায়, ‘বাংলায় জোট নিয়ে আমার সঙ্গে কথা হয়নি। বাংলায় একলা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দেশের তিনশো আসনে লড়াই করুক কংগ্রেস। ভোটের পর সব সিদ্ধান্ত হবে। বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে নেই। অল ইন্ডিয়ায় কংগ্রেস নিয়ে কী করব তা ভোটের পরে ঠিক করব। বাংলায় আসার বিষয়ে আমাক বলা হয়নি। দিদি আপনার ওখানে যাচ্ছি। আমার সঙ্গে জোট নিয়ে কোনও কথা হয়নি। আমি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। ওরা প্রথম দিনেই তা প্রত্যাখান করেছে।’
আরও পড়ুন: ‘কয়েক হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে’, বর্ধমান থেকে বড় ঘোষণা করলেন মমতা
এই আবহে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তাঁর আক্রমণ, ‘এখানে তাঁর ইচ্ছাপূরণ হয়নি। বিরোধী মুখ হিসাবে তিনি যোগ দিলেও কেউ কখনও তাঁর নাম প্রস্তাব করেনি। তাঁর একাধিক দিল্লি সফর জাতীয় প্রোফাইল তৈরি করার চেষ্টা কাজে আসেনি। তিনি ভোট পরবর্তী হিংসার রক্ত লুকাতে পারবেন না এবং তুষ্টির রাজনীতি থেকে নিজেকে মুক্ত করুন। অপ্রস্তুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের মুখ বাঁচাতে মল্লিকার্জুন খাড়গের পক্ষে সওয়াল করেছেন। ওই প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকে বেরিয়ে শাসন করতে চান। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, তার ধোঁকা সত্ত্বেও, বিরোধী শিবিরে আর কোন উপায় ছিল না এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে সেই জায়গা তৈরি করে চলেছেন।’