কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপি ইতিমধ্যেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। কিন্তু তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে কোন্দল বেড়েছে। ২৩ লাখ টাকা দিয়েও টিকিট মেলেনি বলে এক বিজেপি নেত্রী অভিযোগ করেছেন। আবার কথা দিয়ে টিকিট দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন দুর্ঘটনা মৃত বিজপি নেত্রী তিস্তা বিশ্বাসের স্বামী গৌরব বিশ্বাস। তাই তিনি নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা করেছেন। এইসব কোন্দলের মধ্যেই কেউ কেউ আবার বলছেন, টিকিট দেওয়া নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দালালি করেছেন বঙ্গ–বিজেপির কিছু নেতা। এই অভিযোগ উঠতেই চন্দ্রশেখর বাসোটিয়া নামে এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, দলের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের জন্যই এই বহিষ্কার।
ঠিক কী ঘটেছে? এই বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বাসোটিয়ার সঙ্গে আগে টিকিট দেওয়া নিয়ে রফা হয়েছিল। সেখানে তিনি টিকিট পাননি। তখন ক্ষোভে ফেটে পড়েন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের এই নেতা। তারপরই মঙ্গলবার রাতে চন্দ্রশেখর বাসোটিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিজেপি। এদিকে এই পুরসভা নির্বাচন নিয়ে বিজেপির ভার্চুয়াল বৈঠককে ভাটের বৈঠক বলে লগ আউট করে যান বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
অন্যদিকে এই ঘটনার পর চন্দ্রশেখর বাসোটিয়া বলেন, ‘আমার দুর্ভাগ্য যে আমি বড় বড় নেতাদের বাড়িতে গিয়ে দালালি করতে পারছি না। দুর্ভাগ্য আমি গভীর রাতে তাঁদের কোনও সুবিধা দিতে পারছি না। আমাদের দলের কিছু দালাল ওদের মাথায় তুলে রাখছে।’ এই মন্তব্য তথাগত রায়ের মদ–নারীর অভিযোগকে সিলমোহর দিল বলে মনে করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতি কমব্যাট করতে হিমশিম খাচ্ছে বিজেপি। দলের অন্দরে তোলপাড় হচ্ছে এই প্রার্থী তালিকা নিয়ে। সুতরাং অনেকেই চোরাগোপ্তা খেলতে শুরু করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তথাগত রায় বলেছেন, বিজেপির নীচুতলায় প্রশান্ত কিশোরের মাইনে করা লোক রয়েছে। এবার এই গোঁসা করা বিজেপি নেতা–কর্মীরা তৃণমূল কংগ্রেসে গিয়ে ভোট দিলে বিজেপির আসন সংখ্যা কোথায় পৌঁছবে তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই।