বিজেপির এখন নয়া কোর কমিটি হয়েছে। তা নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির উপস্থিতিতে সাত মোর্চাকে নিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার সাংগঠনিক বৈঠকে বসবেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এখানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও থাকবেন। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সমস্ত মোর্চা নেতৃত্ব–সহ দলকে চাঙ্গা করতেই এই বৈঠক বলে বিজেপি সূত্রে খবর। তবে এই বৈঠকের আগে নয়া কোর কমিটিকে অযোগ্যদের নিয়ে তৈরি হয়েছে বলে খোঁচা দিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
ঠিক কী বলেছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ? নয়া কোর কমিটিতে সৌমিত্র জায়গা পাননি। দলের নয়া রাজ্য কোর কমিটিতে ১ নম্বরে রয়েছে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নাম। তারপরেই বিরোধী দলনেতা এবং দিলীপ ঘোষের নাম রয়েছে। এই বিষয়ে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সংবাদমাধ্যমকে নয়াদিল্লি থেকে বলেন, ‘আমি নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে দেখে বিজেপিতে এসেছি। আমি তাঁদের নেতৃত্বে সাধারণ কর্মী হয়ে থাকতে রাজি আছি। কিন্তু, অযোগ্যদের মাথায় রেখে রাজনীতি করা খুব কঠিন। যে দু’জন এখন দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, তাদের ২০১৯ সালের আগে দেখতেও পাওয়া যায়নি। এখন যে কোর কমিটি গঠন হয়েছে তাতে বিরোধী দলনেতা ও দিলীপ ঘোষ ছাড়া অযোগ্যদের কমিটি হয়েছে।’ এই মন্তব্যে রাজ্য বিজেপিতে উপরতলার গোষ্ঠীকোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল বলে মনে করা হচ্ছে।
বৈঠক নিয়ে ঠিক কী জানা যাচ্ছে? বিজেপি সূত্রে খবর, আজ, বৃহস্পতিবার ইজেডসিসি অডিটোরিয়ামে এই বৈঠক হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের সাতটি মোর্চাকে সক্রিয় করতেই এই বৈঠক। মোর্চার নেতা–নেত্রীরা যাতে নিয়মিত কর্মসূচি পালন করেন তার জন্য তাঁদের দায়িত্বও দেওয়া হতে পারে। এই বৈঠকে সাতটি মোর্চার নেতা–নেত্রীরা চাঙ্গা হবেন। ইতিমধ্যেই যুব, মহিলা, কিষান, তফসিলি জাতি, তফসিলি জনজাতি, ওবিসি এবং সংখ্যালঘু মোর্চায় নতুন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। তাই এই বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
তাহলে কী সুকান্তর বিরুদ্ধেই ক্ষোভ সৌমিত্রের? বিজেপির যে রাজ্য কোর কমিটি গঠন হয়েছে তাতে ১ নম্বরে রয়েছে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নাম। তারপরেই বিরোধী দলনেতা এবং দিলীপ ঘোষের নাম রয়েছে। এছাড়া রাহুল সিনহা, সুভাষ সরকার, শান্তনু ঠাকুর, মিঠুন চক্রবর্তী, স্বপন দাশগুপ্ত, লকেট চট্টোপাধ্যায়–সহ মোট ২০ জন কমিটিতে রয়েছেন। স্পেশাল ইনভাইটি মেম্বার হিসেবে আরও চারজন রয়েছেন। তবে সেখানে সৌমিত্রের জায়গা হয়নি। তাতেই তিনি দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন। নিজের ফেসবুক পেজে তিনি লেখেন, ‘এর আগেও আমার উপর অনেক আঘাত এসেছে, শত কষ্ট উপেক্ষা করেও আমি এগিয়ে যাব। যেটা ঠিক সেটা ঠিক, যেটা ভুল সেটা ভুল। এটা আমি সর্বদা বলবই।’