আজ, মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান। সেই সৌজন্যে কলকাতায় ফের নাকাল শহরবাসী। দুর্যোগ মাথায় করেই গেরুয়া ঝাণ্ডা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন কর্মী–সমর্থকরা। তার জেরে সকাল থেকেই ব্যাহত হতে শুরু করেছে যান চলাচল। গাড়ি নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে লালবাজার। একাধিক রাস্তা বন্ধ থাকায় ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে গাড়ির অভিমুখ। এই পরিস্থিতিতে আটকে পড়ে অ্যাম্বুলেন্স। তার মধ্যে রোগী ছিল বলে খবর। ফলে বিজেপির নবান্ন অভিযানে মানুষের কোনও উপকার হল না।
কী পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে? আজ, মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানের দৌলতে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার নিত্যযাত্রীরা। মিলছে না বাস বা গাড়ি। হাওড়া থেকে বর্ধমান যাওয়ার গাড়ির ভাড়া দেড় হাজার টাকার জায়গায় সুযোগ বুঝে এখন ৪ হাজার টাকা ভাড়া হাঁকছেন চালকরা বলে অভিযোগ যাত্রীদের। বাধ্য হয়ে অনেককেই ফিরে যেতে হচ্ছে। এন সি স্ট্রিট, কলেজ স্ট্রিট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে লালবাজার। তার বদলে লেনিন সরণি, মৌলালি, এজেসি বোস রোড ধরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবার বন্ধ থাকতে পারে আমহার্স্ট স্ট্রিট হয়ে এমজি রোডের একাংশ। এমজি রোডের বদলে এপিসি রোড, শিয়ালদা উড়ালপুল ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমনকী হাওড়া ব্রিজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার। দ্বিতীয় হুগলি সেতুও বন্ধ রাখা হবে।
আর কী দেখা গেল? এদিন রাস্তায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। ফলে হয়রানির শিকার হয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। নবান্নের দিক থেকে যাবার রাস্তায় লোহার রেলিং বসিয়ে ঢালাই করে আটকে দেওয়া হয়েছে। তাই নিত্যযাত্রীরা পড়েছেন সমস্যায়। এই পরিস্থিতিতে তীব্র যানজটে আটকে ছিলেন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীও। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে মোতায়েন করা হয়েছে মোট দু’হাজার পুলিশ। থাকছেন ৩২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার এবং ৬২ জন ইন্সপেক্টর। বন্ধ থাকবে হাওড়া ব্রিজ এবং দ্বিতীয় হুগলি সেতু।
নবান্নের সুরক্ষাবলয় কেমন হয়েছে? হাওড়া ময়দানের কাছে ফোরশোর রোডে নবান্নমুখী চলন্ত বাস থামিয়ে চলছে পুলিশের চেকিং। পরীক্ষা করা হচ্ছে দূরপাল্লার বাসও। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে নবান্নকে। মিছিল যাতে প্রশাসনিক ভবন পর্যন্ত পৌঁছতে না পারে, তার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বেশকিছু রাস্তায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এই মিছিলে অনুমোদন নেই পুলিশের।