আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর বাইপাসের ধারে তৃণমূল ভবনে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার প্রাতঃভ্রমণ করতে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? তিনি বলেন, ‘সরকারের পারফরম্যান্স কেমন, তা মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। রাস্তার ধারে যুবক–যুবতীরা চাকরির জন্য ধর্ণা দিচ্ছে। ডিএ–এর জন্য, পেনশনের জন্য হাহাকার চলছে। মহিলারা নিজেদেরকে অসুরক্ষিত বলে মনে করছেন। এক বছরেই নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছে। আমি জানি না পাঁচ বছর হলে কী হবে। আর্থিক অবস্থা সব থেকে খারাপ। আর কিছুদিন পর থেকে বেতন দেওয়ার মতো অবস্থা থাকবে না সরকারের। দলের নেতৃত্ব কে দেবেন তা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে, আর তা সামাল দিতে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।’
তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক বৈঠক নিয়েও কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘সরকার আর পার্টি বলে আলাদা কিছু নেই। সরকারের মন্ত্রীদের কাছে কোন কাজ নেই, টাকা পয়সা নেই সরকারের। কোথাও গেলে জিজ্ঞাসা করা হয়, কন্ট্রাকটররা টাকা কবে পাবে? মিটিং করে কোন লাভ নেই। দলের লোকেদের সমস্যা হচ্ছে। তাদেরকে জবাব দিতে হচ্ছে।’
অমিত শাহের সফর নিয়ে কী বলবেন? এই বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি বলেন, ‘মানুষ এখনও আমাদের ভরসা করে। আমরা আন্দোলন করছি। তাই আমাদের কর্মীরা প্রতিনিয়ত টার্গেট হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, অনেকেই ঘরছাড়া। মিথ্যা কেস দিয়ে জেলে ঢোকানো হয়েছে। যার ফলে মনোবলের অভাব ছিল বলে আমার মনে হয়। মানুষ আমাদের সমর্থন করেছে। প্রধান বিরোধীদল হিসেবে সে কাজটাই আমরা করছি।’
স্কুলের গরমের ছুটি নিয়েও রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এই সরকার যা করে সবই উল্টো করে। সরকারের কোনও ধৈর্য নেই। কে বলেছিল ছুটি দিতে। প্রাইভেট স্কুলগুলিতে ছুটি দিচ্ছে না। সমস্যা তো তাদের বেশি হওয়া দরকার। সাধারণ মানুষ চাইছে স্কুল খোলা থাকুক। ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্ক, পরিবেশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্কুলের শিক্ষক নেই, তাই স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্যা এটা। এভাবে চলতে পারে না।’