ত্রিপুরা ভোট থেকে পার্থ- কুন্তল যোগ, মঙ্গলবার তৃণমূলকে তুলোধোনা করলেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। ত্রিপুরা ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি ত্রিপুরার। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনোরম। সেখানে তৃণমূল ভালো আতিথেয়তা পাবে। আবহাওয়া ভালো। বেড়াতে গিয়েছেন, খুব ভালো লাগবে। নির্বাচন হচ্ছে ত্রিপুরায়। দুর্ভাগ্যের বিষয় কোনও রাজনৈতিক দলই ত্রিপুরায় তৃণমূলের নাম উচ্চারণ করছে না। মমতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি কবি মনস্ক। সেখানে রাজ্যপাল চার্চিলের সঙ্গে তুলনা করেছেন। উত্তেজিত হবেন না। বিশ্রাম নিন। মানুষের কাছে যান। আবার ফিরে আসুন। আমাদের ভালোবাসা ছেড়ে কেন বার বার দূরে দূরে চলে যাচ্ছেন।
তথাগত রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় কথা বলেছেন। তিনি দলের কোনও পদে নেই। সেকারণে তাঁর বক্তব্য নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।
অর্জুন সিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে অর্জুন সিং তৃণমূলে গিয়েও এখনও গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছেন না।যে অর্জুন সিং তাঁর অনুচরেরা বলতেন তারা তৃণমূলের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন তিনিই আবার তৃণমূলের দল গঠন করছেন।এটাই আশ্চর্যের।
এই সময়ে তৃণমূল জনবিচ্ছিন্ন। যেখানে দিদির দূতেরা যাচ্ছে সেখানে ক্ষোভের শিকার হচ্ছেন। উন্নয়নের যে ফানুস সেটা ফেটে গিয়েছে। দাবি শমীকের।
আমাদের এখানে মুকুল রায় যখন বেড়াতে এসেছিলেন তখন তার বিরুদ্ধে ৩৯টি মামলা ছিল। আর অর্জুন সিং যখন এসেছিল তখন তার বিরুদ্ধে ১০৭টা মামলা ছিল। তখন তিনি গদ্দার ছিলেন। আর এখন গদাধর হয়ে গিয়েছেন। খোঁচা শমীকের।
শমীক বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণা ছিল। সর্বভুক ব্য়াপার ছিল। তার মধ্য়ে একটা খাব খাব ব্যাপার ছিল। কেউ কারোর থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। দু চারজন দালালের নাম উঠে আসছে। মানুষ ছোট মাছ দেখতে চাইছে না। মানুষ পাকা রুই, কাতলা চাইছে।
মানিক ভট্টাচার্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুধু স্কুল নয়, বিএলএড কলেজেও দুর্নীতি হয়েছে। সম্প্রতি হওয়া টেটের ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে দালালের বাড়ি থেকে।
তৃণমূল হতাশায় ভুগছে। ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছে তৃণমূল। দাবি শমীকের।
বাংলায় ডিএ বঞ্চনার প্রতিবাদে সরকারি কর্মীদর আন্দোলন প্রসঙ্গে শমীক বলেন, এই সরকারটা ব্যর্থ সরকার। মানুষ রাস্তায় নামবেই। আশা কর্মীদের প্রতিবাদ আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, প্রবল চাপের জেরে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা চলে গিয়েছেন।