বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > BJP-Governor: রাজ্যপালকে এমন বিরোধিতা কেন করা হল?‌ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ধমকে ঢোঁক গিলছে নেতারা

BJP-Governor: রাজ্যপালকে এমন বিরোধিতা কেন করা হল?‌ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ধমকে ঢোঁক গিলছে নেতারা

সুকান্ত মজুমদার (ফাইল ছবি)

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে চিঠি দিয়ে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় আর্জি জানিয়েছেন, হুগলিকে কিছু লোকাল ট্রেন দিন। কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুরের কাছে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে বুনিয়াদপুরে ন্যাশনাল সেন্টার অব এক্সেলেন্স তৈরির আবেদন জানিয়েছেন।

রাজ্যের বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই বিধানসভায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ভাষণ চলাকালীন নজিরবিহীন বিক্ষোভ দেখান বঙ্গ–বিজেপির বিধায়করা। যাকে কেন্দ্র করে এমন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নিন্দা করল বলে সূত্রের খবর। এমনকী এই কারণে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ধমক খেতে হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এই ব্যাপারে ঢোঁক গিলতে বাধ্য হল বাংলার গেরুয়া শিবির। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমে জানান, ব্যক্তি রাজ্যপালকে বিক্ষোভ দেখানো হয়নি। শুধু তাঁর ভাষণের প্রতিবাদ করা হয়েছে।

এদিকে নয়াদিল্লিতে সংসদে এখন অধিবেশন চলছে। তার মাঝেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা হয় সুকান্তর। সেখানেই এই বিষয়টি নিয়ে তাঁকে ধমক খেতে হয় বলে সূত্রের খবর। যদিও তিনি সেখানে বোঝাতে চেয়েছেন রাজ্যপালের বিরোধিতা করা হয়নি। তাঁর ভাষণের বিরোধিতা করা হয়েছে। কারণ সেটা রাজ্য সরকার ঠিক করে দিয়েছিল। যার সবটা সত্য নয়। কিন্তু তাতে আশ্বস্ত হননি কেন্দ্রীয় নেতারা। বরং পরবর্তী ক্ষেত্রে এমন কাজ যাতে আর না হয় সেই বার্তাই তাঁকে বিধায়কদের দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

ঠিক কী বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? অন্যদিকে এই ধমক খাওয়ার কথা তিনি জানাননি। শুধু সংবাদমাধ্যমে ‌বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, ‘আমরা ব্যক্তি রাজ্যপালকে কোনও আক্রমণ করিনি। তাঁর অভিভাষণের বিরোধিতা করা হয়েছে। ওই অভিভাষণের বয়ান লিখে দিয়েছে রাজ্য সরকার। যেমন সংসদে রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের বয়ান তৈরি করে কেন্দ্র এবং বিরোধীপক্ষ বিজেপির দিকে আঙুল তোলে। আমার কাছে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর আছে যে, অভিভাষণের বয়ানে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনার অংশও ছিল। কিন্তু রাজ্যপাল সেগুলি কেটে দিতে বলেছিলেন।’ যদিও এই দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ পেশ করেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক রাজ্য নেতা বলেন, ‘‌এই বিরোধিতার জেরে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হয়েছে বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সেটাই বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে জানানো হয়েছে। এমনকী সতর্ক করা হয়েছে, যাতে আগামী দিনে আর বিধায়করা রাজ্যপালকে কোনও আক্রমণ না করেন। সেটা বিধায়কদের জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে।’‌ তার মধ্যে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে চিঠি দিয়ে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় আর্জি জানিয়েছেন, হুগলিকে কেন্দ্র করে কিছু লোকাল ট্রেন দিন। কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুরের কাছে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে বুনিয়াদপুরে ন্যাশনাল সেন্টার অব এক্সেলেন্স তৈরির আবেদন জানিয়েছেন।

বন্ধ করুন